কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার যা প্রত্যাশা ছিল, তার চেয়েও ২০ বেসিস পয়েন্ট কমেছে এই হার। এত কম জিডিপি বৃদ্ধির হার শেষবার ছিল চারবছর আগে। এই হার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ছিল ৮.২ শতাংশ। এদিকে এসবিআই তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, চলতি অর্থবর্ষ শেষে দেশে জিডিপির হার আরও ১০ বেসিস পয়েন্ট কমে যেতে পারে। তা হতে পারে ৬.৩ শতাংশ। দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কটির দাবি, ভারতের ডিজিপির হার বৃদ্ধি নির্ভর করে যেসব বিষয়ের উপর, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ঋণ।
স্টেট ব্যাঙ্কের বক্তব্য, চলতি অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কগুলি ছোট অঙ্কের ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে চাপে আছে। ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যক্তিগত ঋণপ্রদানের হার ধাক্কা খেয়েছে। সার্বিকভাবে এই ধরনের ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে কিছু কঠোর নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি), মাইক্রো ফিনান্স বা বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদাতা সংস্থাগুলিও যেভাবে সাধারণ মানুষের উপর অনেক বেশি সুদের বোঝা চাপাচ্ছিল, তাতেও রাশ টানা হয়েছে। তার জেরে মার খেয়েছে ঋণপ্রদান। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়কালে ঋণ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার। অঙ্কটি গতবছর ছিল ২১ লক্ষ কোটি। শিল্পক্ষেত্রসহ সবদিক থেকেই ঋণদানের পরিমাণ মার খেয়েছে, বলছে এই রিপোর্ট। জিডিপি খর্ব হওয়ার এটি একটি বড় কারণ। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্যেই দেখা গিয়েছে, একমাত্র কৃষি ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বৃদ্ধির হার বেশি হয়েছে, ৩.৮ শতাংশ। কিন্তু উৎপাদন শিল্প, আবাসন, পরিষেবা—প্রতিটি সেক্টরই ২০২৪ সালে মুখ থুবড়ে পড়েছে।