কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
জিএসটি ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। পোর্টাল বা নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে যাওয়া একসময় রোগে দাঁড়িয়েছিল দপ্তরের। কিন্তু সেই সমস্যা গত কয়েক বছরে অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন দপ্তরের কর্তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার অভিযোগ আসতে থাকে, কাজ করছে না পোর্টাল। এদিকে জিএসটির আওতায় রিটার্ন-১ দাখিল করার সময়সীমা প্রতিমাসের ১১ তারিখ। রিটার্ন দাখিল না-হলে পেনাল্টির মুখে পড়তে হবে। তবে সবচেয়ে সমস্যা হবে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট নিয়ে, জানিয়েছেন বণিকসভা এমসিসিআইয়ের জিএসটি ও পরোক্ষ কর কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুশীলকুমার গোয়েল। তিনি বলেন, ওই রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমেই ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি পাওয়া যায়। রিটার্ন জমা করার সময় তাঁরা আইটিসি ‘অ্যাডজাস্ট’ করেই তা জমা করেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যদি রিটার্ন দাখিল না-হয়, তাহলে আইটিসি পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে পরের মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এটি যেকোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্যই গ্রহণীয় নয়। সুশীলবাবু বলেন, বহুদিন পর আবার পোর্টালে সমস্যা দেখা দিল। তবে আমাদের পুরনো অভিজ্ঞতা বলছে, সমস্যা জিইয়ে থাকলে সরকার রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়াবে।
এদিন কোন কোন সমস্যায় পড়লেন করদাতারা? অনেকেরই অভিজ্ঞতা, ক্রেডিট এবং ক্যাশ লেজারে তাঁদের ‘জিরো ব্যালান্স’ দেখাচ্ছে, যা হওয়া উচিত নয়। কারণ, অনেকেরই সেখানে জমা টাকা থাকে, যা পোর্টালে দেখা যায়। যাঁরা জিএসটিআর-১ সংক্রান্ত তথ্য বা ‘সামারি’ দেখতে চেয়েছেন, তাঁদের অনেককেই ‘এরর’ দেখিয়েছে পোর্টাল। অনেকের যেমন সেই সামারি আংশিক দেখা গিয়েছে, অনেকের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ উড়েই গিয়েছে! তাই রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হয়নি। জিএসটিএন অবশ্য সমাজ মাধ্যমে সেই সমস্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, তার সমাধানের কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, জিএসটি নেটওয়ার্ককে সচল রাখার দায়িত্ব রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের উপর। অনেকেই দাবি করেছেন, এই দায়িত্ব তাদের হাত থেকে সরিয়ে অন্যকোনও সংস্থাকে তা দেওয়া হোক।