তিরুপতি: দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক মহিলা। তাঁকে বের করার জন্য একটি গেট খুলতেই অন্যরাও সেখান দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেন। শুরু হয় তুমুল ধাক্কাধাক্কি। সামলাতে না পেরে অনেকেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর জেরেই পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ গিয়েছে ছ’জনের। জখম অন্তত ৪০। অন্ধ্রের তিরুমালার ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে চত্বরে দুর্ঘটনার তদন্তে এমনই দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থার দিকেও আঙুল উঠেছে। সরাসরি রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকেও দায়ী করেছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতা তথা তিরুমালা তিরুপতি দর্শনমের (টিটিডি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান বি করুণাকর রেড্ডি। তাঁর দাবি, এই দুর্ঘটনার নৈতিক দায় নেওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। মৃতদের পরিবার পিছু এক কোটি টাকা ও জখমদের ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে হুড়োহুড়ির দায় পুলিসের উপরই চাপিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। টিটিডির দাবি, সমস্তটাই সুষ্ঠুভাবে চলছিল। কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিয়েই ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক একটি গেট খুলে দেন। তার জেরেই মর্মান্তিক ঘটনা।এই দায় ঠেলাঠেলির মধ্যে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রবাবু। পরে আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান তিনি।
আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বৈকুন্ঠ একাদশী উৎসব। প্রথম তিনদিন বিনামূল্যে তিরুপতির ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর দর্শন পাবেন ভক্তরা। সেজন্য তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ১ লক্ষ ২০ হাজার টোকেন বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে সেই কুপন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমতে থাকে। টিটিডি চেয়ারম্যান বি আর রায়ডু জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করতে একটি গেট খোলার পরই বিপত্তি বাধে।
তিরুপতি মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এন মৌর্য জানিয়েছেন, বিষ্ণু নিবাশম মন্দিরের কাছে বৈরাগীপাট্টেদাতে এম জি এম হাইস্কুলে কুপন বিতরণের একটি কাউন্টার খোলা হয়েছিল। বুধবার সকাল থেকে সেখানে প্রায় ৪ - ৫ হাজার মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল।
জখম মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। পিটিআই