কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
মোদি প্রবাসী ভারতীয় দিবস যেদিন উদ্বোধন করলেন, সেদিনই ডলারের বিনিময়ে টাকার বিনিময় মূল্য সর্বকালীন রেকর্ড পতন ঘটল। এক ডলারের মূল্য প্রায় ৮৬ টাকার দোরগোড়ায়। অথচ রপ্তানি তলানিতে। সুতারং বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে টান পড়তে চলেছে। একইসঙ্গে এদিনই জানা গিয়েছে, বাণিজ্য ঘাটতি কমার কোনও লক্ষণ নেই। মোদি এদিন প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে আবেদন করেছেন, আপনারা এগিয়ে আসুন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় প্রবাসী ভারতীয়রা অনেক সহায়তা করেছে ভারতকে। ঠিক সেই ভাবেই ২০৪৭ সালে ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ করে তুলতে প্রবাসী ভারতরীয়দের সাহায্য চাই। মোদি বলেন, আজ ফাইটার জেট এবং পণ্য এয়ারক্র্যাফট ভারতে নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেদিন আর বেশি দূর নয়, যেদিন আপনারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে আসবেন মেড ইন ইন্ডিয়া প্লেনে চেপে। ভারতের কথা আপনারা সব দেশে ছড়িয়ে দিন। ভারতের সঙ্গে বিশ্বের যোগসূত্র স্থাপন করুন। ভারতকে গোটা দুনিয়াই চেনে বিশ্ববন্ধু হিসেবে। এই পরিচয় যেন আপনাদের মাধ্যমে আরও বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ভাষণে এদিন তিনি ১০ বছরে কী কী করেছেন সেই তালিকা থাকলেও লক্ষ্যণীয়ভাবে বিশ্বের অর্থনীতি অথবা উন্নতিতে ভারত যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে, এরকম দাবি করেননি। বরং বলেছেন, আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে। সেজন্য আপনাদের সাহায্য চাই। ভারতের শক্তি আমাদের যুবসমাজ। তাদের উপর আমাদের আশাভরসা। তারা দেশবিদেশে নিজেদের স্কিলের মাধ্যমে ভারতকে গৌরব এনে দেবে। বস্তুত ডলার, ইউরো, পাউন্ডের সামনে টাকার পতনের সবথেকে প্রত্যক্ষ সাক্ষী প্রবাসীরাই। তাই তাদের সামনে মোদির মুখে আর বিশ্বগুরু শব্দটি নেই।