কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
কেন এই ধর্মঘট? অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, বেশকিছু দাবিদাওয়াকে যেমন আমরা সামনে এনেছি, তেমনই বিরোধিতা করছি দুটি বিষয়ের। দাবিগুলির মধ্যে সবার আগে আছে—যথাযথভাবে শূন্যপদগুলির পূরণ এবং সপ্তাহে পাঁচদিন ব্যাঙ্ক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপগুলি করছে, তার কয়েকটি শ্রমিক-স্বার্থ-বিরোধী। আমরা সেসবের যেমন বিরোধিতা করছি, তেমনই দেখতে পাচ্ছি—ব্যাঙ্কের নীতিগত সিদ্ধান্তে নাক গলাচ্ছে অর্থমন্ত্রক। এই জিনিস একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ। তারও প্রতিবাদ করছি আমরা।
ব্যাঙ্ককর্মীর সংখ্যা কত কমেছে? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে মোট কর্মী ছিলেন ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৪১ জন। ২০২৪ সালে সংখ্যাটি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৫৬ হাজার। এতেই পরিষ্কার, সাতবছরে লক্ষাধিক কর্মী হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। কর্মী ও অফিসার কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ধর্মঘটীরা।
তাঁদের আরও বক্তব্য, সপ্তাহে পাঁচদিন ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু রাখার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রায় দু’বছর আগে। ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) পাঁচদিন পরিষেবার দাবিটি অনেক আগেই মেনে নিয়েছে। তারপর দীর্ঘকাল কেটে গেলেও সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হল না। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে চুপ। এটাকে আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য দাবি হিসেবেই সামনে রাখছেন ব্যাঙ্ক অফিসাররা।