গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
প্রশ্ন উঠছে, কর্পোরেট এবং আম জনতাও যা জানে, তা সরকার স্বীকার করছে না কেন? শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষি এবং পরিষেবা সেক্টর ছাড়া অর্থনীতির প্রতিটি বিভাগে বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—তিন মাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ঠিক এই সময়সীমায় কোর সেক্টর সহ খনি থেকে শ্রমদিবস, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কমেছে বৃদ্ধিহার। তাহলে প্রশ্ন হল, গোটা অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির হার কীভাবে সাড়ে ৭ শতাংশ হবে? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পূর্বাভাস কিন্তু তেমনই ছিল। কৃষি ও শিল্প, এই দু’টির উপর ভিত্তি করেই যদি কেন্দ্র সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির হারের দাবি তুলে থাকে, তাহলে এই দু’টি সেক্টরের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন? দেশে কৃষি ও শিল্প কেমন চলছে, সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মসংস্থান কী অবস্থায় আছে, সামগ্রিক আর্থিক সক্রিয়তা গ্রাম-শহরে কেমন—এই প্রতিটি ফ্যাক্টর নিয়ে সমীক্ষা করে সরকার। একে বলে আর্থিক সেন্সাস। শোনা যাচ্ছে, আগামী এপ্রিলেই এমন সেন্সাস শুরু হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ২০১৯ সালে যে আর্থিক সেন্সাস হয়েছিল, তার রিপোর্ট কোথায়? কোভিডকে ঢাল বানিয়ে সেটাও কি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে? ব্যর্থতার বহর কি তাতে এতই চওড়া ছিল? তাই কি নতুন সেন্সাসের সিদ্ধান্ত? রাজনৈতিক মহলের মতে, স্বীকার না করলেও সরকার জানে যে, গত তিন বছরে আর্থিক অবস্থা মোটেই আশাব্যঞ্জক ছিল না। তাহলে প্রত্যাশার পাহাড় নির্মাণ করা হচ্ছিল কেন? ঘোষণা ছিল ভারতীয় অর্থনীতিকে নরেন্দ্র মোদি ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাবেন। কিন্তু চাকা তো উল্টো ঘুরছে! কারণ, সাড়ে ৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিহার ২০১৯ সালেও হয়েছে।