গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
‘ইপিএফও ৩.০’-এর অন্যতম এজেন্ডা ইপিএফ এটিএম কার্ড। মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্যাঙ্কের এটিএম কাম ডেবিট কার্ডের মতোই কাজ করবে সেটি। অর্থাৎ, টাকার প্রয়োজন হলে ব্যাঙ্কের এটিএম কিয়স্ক থেকে ইপিএফের কার্ড ব্যবহার করে তা ‘লোন’ হিসেবে তুলে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। তবে এক্ষেত্রেও শর্ত থাকছে। পিএফ অ্যাকাউন্টে মোট জমা অর্থের ৫০ শতাংশের বেশি তোলা যাবে না।
বর্তমানে পিএফ গ্রাহকরা চাইলে চাকরির মেয়াদ শেষের আগে জমানো টাকার একটা অংশ তুলে নিতে পারেন। তবে সেজন্য চিকিৎসা, বাড়ি তৈরি, বিয়ে, পড়াশোনার খরচের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ দেখাতে হয়। তাতেও ১০-১২ দিন সময় লেগে যায়। সেই প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা কাটাতেই এই উদ্যোগ।
পিএফ ফান্ডে আরও বেশি করে টাকা জমা করার সুযোগও দেওয়া হতে পারে গ্রাহককে। এখন বেতনের ১২ শতাংশ কেটে নিয়ে ইপিএফও’র কাছে জমা করে কর্মদাতা সংস্থা। শর্তসাপেক্ষে আরও বেশি টাকা বেতন থেকে কাটাতে পারেন কর্মচারী। তাকে বলা হয় ভলান্টারি পিএফ। সেই সীমা এখন ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্র। তবে কর্মদাতা সংস্থার প্রদেয় টাকায় বদল আনার কোনও চিন্তাভাবনা তাদের নেই। সামগ্রিক বিষয়ে ইপিএফও অছি পরিষদের সদস্য তথা টিইউসিসির সাধারণ সম্পাদক এসপি তিওয়ারি বলেন, কেন্দ্রের সরকার কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব পেশ করেছে। বিশেষ করে ইপিএফের এটিএম কার্ড চালু হলে গ্রাহক হয়রানি অনেকাংশে কমবে।
কিন্তু বাস্তবে তা কতটা মঙ্গলদায়ক হবে, সেব্যাপারে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, এটি একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। কর্মচারীর অবসরকালে থোক টাকা হাতে দেওয়াই এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। এটি তাঁর বার্ধক্যকালের আর্থিক সম্বল। যদি কর্মজীবনেই সেই টাকা তোলা সহজ হয়ে যায়, তাহলে তুচ্ছ কারণে তার অপব্যবহার হবে। ফলে অবসরকালে প্রাপ্য কমবে। বিপদে পড়বেন মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা। এমনটা মোটেই কাম্য নয়। বিশেষত পিএফের ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধি বা বর্ধিত পেনশন সুষ্ঠুভাবে দেওয়ার মতো জ্বলন্ত সমস্যাগুলির যখন কোনও সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার দিল্লিতে বসতে চলেছে ইপিএফও-র কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের বৈঠক।