গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
শোনা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মহাযুতির তিন শীর্ষনেতার বৈঠকে সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার এক সপ্তাহ পরও সে গুড়ে বালি! কথায় বলে, ছবি অনেক না বলা কথা বলে দেয়। বৃহস্পতিবার দিল্লির বৈঠকের ছবিও কি কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছিল? ফুলের তোড়া হাতে অমিত শাহের সঙ্গে একগাল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। হাসি এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের মুখেও। কিন্তু মুখ ভার করে দাঁড়িয়ে ‘তদারকি’ মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধে। সরকার গঠনের ফর্মুলা এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় এই ছবিই এখন তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে সিন্ধে বলেছিলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার মুম্বইয়ে হবে পরবর্তী দফার আলোচনা।’ এদিন সকালে ফড়নবিশ, অজিতের সঙ্গে মুম্বই ফেরেন সিন্ধে। যদিও মহাযুতি শিবিরের বৈঠক না করেই চলে যান গ্রামের বাড়িতে। দুম করে কেন এই সিদ্ধান্ত শিবসেনার (সিন্ধে) সুপ্রিমোর? নিজে ঘোষণা করা সত্ত্বেও কেন বাতিল করলেন এদিনের বৈঠক? উত্তর অজানা। ঠিক যেমন ধোঁয়াশা বাড়ছে বিজেপির রণকৌশল নিয়েও। ২৮৮টি আসনের মধ্যে পদ্ম পার্টি একাই ১৩২টিতে জিতেছে। সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ১৩ বিধায়কের সমর্থন। অজিত পাওয়ারের এনসিপি শিবির জানিয়ে রেখেছে, তারা বিজেপির পাশেই। তাহলে আটকাচ্ছে কোথায়? তাহলে কি আড়ালে অন্য কোনও সমীকরণ তৈরির ছক প্রস্তুত হচ্ছে? ঠিক যেভাবে ২০১৯ সালে বিজেপি তথা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাড়া ভাতে ছাই পড়েছিল? না হলে বিশাল জনাদেশ সত্ত্বেও বিজেপির রক্তচাপ বাড়ছে কেন? সে যাত্রায় ‘কাঁটা’ ছিলেন উদ্ধব। এবার কে? জল্পনা তুঙ্গে।
এসবের মধ্যে সিন্ধে তথা শিবসেনার অন্দরের হিসেব-নিকেষ ঘিরে জল্পনা বাড়ছে। সূত্রের খবর, দলের একটা অংশের নেতা সিন্ধেকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিজেপির প্রস্তাব মতো উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ বেছে নিতে। যদিও ভিন্নমত দলের অন্য অংশ। তাঁরা বলছেন, আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর নতুন সরকারে দু’নম্বর স্থান গ্রহণ করাটা মোটেও সম্মানের নয়। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিন্ধের নেতৃত্বেই যখন বিজেপি জোটের জয় এসেছে। এরই মধ্যে এদিন শিরোনামে প্রবীণ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় শিরসত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, একনাথ সিন্ধে কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে দিল্লি যাবেন না। তবে তিনি যদি উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ না করেন, তাহলে শিবসেনার অন্য কোনও নেতা তা পাবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সিন্ধেই নেবেন। অন্য একটি সূত্রের আবার দাবি, আগামী সপ্তাহের আগে শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিজেপির আস্ফালন সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রে কুর্সির মহারণ অব্যাহত।