গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
সমীক্ষাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং এফ জার্নালে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ২০১৯ সাল থেকে ১৪ মাস ধরে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন। কথা বলেছেন করবেট টাইগার রিজার্ভের (সিটিআর) ভিতরে মহিলা সহ মোট ২৭০ জন গ্রামবাসীর সঙ্গে। কেমব্রিজের সমাজতত্ত্ব বিভাগের গবেষক তথা সমীক্ষাপত্রটির প্রধান লেখক ত্রিশান্ত সিমলাই বলেন, ‘অরণ্যের মধ্যে এক মহিলা শৌচকার্যে যাচ্ছিলেন। ক্যামেরা ট্র্যাপের মাধ্যমে সেই মহিলার অর্ধনগ্ন ছবি তুলে তা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্তা করতেই এসব করা হচ্ছে।’ গবেষণাপত্রটির সহকারী লেখক হলেন ক্রিস স্যান্ডব্রুক। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা সমাজবিজ্ঞানী। সিমলাই ও স্যানব্রুকের এই গবেষণাপত্রটির নাম ‘জেন্ডার্ড ফরেস্টস: ডিজিটাল সার্ভিল্যান্স টেকনোলজিস ফর কনজারভেশন অ্যান্ড জেন্ডার-এনভায়রনমেন্ট রিলেশনশিপ’।
শুধু গোপনীয়তা লঙ্ঘন বা হেনস্তা নয়, ক্যামেরা ট্র্যাপ ও ড্রোনের অপব্যবহার করে অরণ্যবাসী মহিলাদের সঙ্গে বনাঞ্চলের আত্মীক সম্পর্ক ও অধিকারও হরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সিমলাইয়ের। সেই সঙ্গেই তাঁদের উপর হিংস্র পশুদের হামলার আশঙ্কাও বাড়ছে। ওই গবেষক জানাচ্ছেন, জঙ্গল থেকে জ্বালানি কাঠ, ঘাস ও মধু সংগ্রহ ওই অঞ্চলের মহিলাদের আইন স্বীকৃত অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এক শ্রেণির ফরেস্ট রেঞ্জার ওই আদিবাসী মহিলাদের সামনে দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোন উড়িয়ে তাঁদের ভয় দেখাচ্ছেন। যাতে তাঁরা জঙ্গল থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে না পারেন। মহিলারা জঙ্গলে কাঠ, মধু ইত্যাদি সংগ্রহে গিয়ে নিজেদের মধ্যে জোরে জোরে কথা বলেন, গান করেন। এর ফলে বাঘ সহ হিংস্র জন্তুদের হামলার আশঙ্কা কমে। কিন্তু জঙ্গলে তাঁরা যখন ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁদের উপর নজরদারি চলছে দেখেন, তখন ভয়ে চুপ করে যান। এর ফলে তাঁদের উপর জন্তুদের হামলার আশঙ্কাও বাড়ছে। সিমলাই জানান, তাঁকে সাক্ষাৎকার দেওয়া এক মহিলাও পরবর্তী সময়ে বাঘের হামলার মারা যান।
জঙ্গলের সঙ্গে অরণ্যবাসী মহিলাদের সম্পর্ক বিভিন্ন কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ। সিমলাই জানাচ্ছেন, অনেক সময় পারিবারিক অশান্তি ও মদ্যপ স্বামীর মারধর থেকে বাঁচতেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে দীর্ঘক্ষণ জঙ্গলে সময় কাটান মহিলারা। নজরদারি ক্যামেরা ও ড্রোনের অপব্যবহারের কারণে তাঁদের আত্মরক্ষার সেই কৌশলও বিপদের মুখে। -ফাইল চিত্র