চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ১ শতাংশ প্রবীণকেও বর্ধিত হারে পেনশন দিয়ে উঠতে পারেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই গা ছাড়া ভাব নিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার অভিযোগ এনেছে ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনস। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এগজিকিউটিভদের সংগঠনগুলির সর্বভারতীয় মঞ্চ। মোট ২৪০টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দু’লক্ষ অফিসার রয়েছেন এই সংগঠনের আওতায়। তারা মোদি সরকারকে স্পষ্ট জানিয়েছে, একদিকে প্রবীণদের থেকে টাকা চেয়ে নিলেও পেনশন চালু হয়নি। অন্যদিকে বহু আবেদনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন। কিন্তু ডিম্যান্ড নোটিস দিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে না। এই দু’টি পদক্ষেপই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। পাশাপালি তোলা হয়েছে পেনশনের হিসেব সংক্রান্ত প্রশ্ন। ইপিএফও যে ‘প্রো-রাটা’ ভিত্তিতে হিসেব কষছে, সেটাও শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধী। কেন্দ্রের নিজের কষা হিসেব বেআইনি এবং অনৈতিক। পিএফের অছি পরিষদের এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকেও সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার প্রসঙ্গ উঠেছে। বৈঠকের কার্যবিবরণীতেই সরকারিভাবে সেই তথ্য প্রকাশিত।
পেনশন দেওয়ার টাকা জোগাড় করাটাও অবশ্য এখন কেন্দ্রের কাছে বড় অর্থনৈতিক বোঝা। অছি পরিষদের ‘অ্যাকচুয়ারি’ বা আর্থিক ঝুঁকি সংক্রান্ত হিসেবরক্ষকের কথাতেই তা স্পষ্ট। কনসালট্যান্ট অ্যাকচুয়ারি জয়েশ পণ্ডিত দাবি করেছেন, আবেদনকারীরা যে বাড়তি টাকা দপ্তরে জমা করছেন, তা কোথাও লগ্নি করা হোক। কারণ, নির্দিষ্ট ‘ফর্মুলা’ মেনে পেনশন দিতে হলে তহবিলে বড়সড় ফাঁক তৈরি হবে। সর্বশেষ এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে বর্ধিত হারে পেনশন নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘কোনওভাবেই পেনশনে ঢিলেমি চলবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই পেনশন দিতে হবে। বৈঠকে এই দাবি তুলেছি। কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা দ্রুততার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করবেন।’ এপ্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ইপিএস-৯৫ স্কিমের আওতায় থাকা পেনশনভোগীদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটির রাজ্য শাখার সভাপতি তপন দত্ত। তিনি বলেন, ‘সরকার কী হিসেবে পেনশন দিচ্ছে, তা কেন প্রতিটি আবেদনকারীকে স্পষ্ট করে বলা হবে না? এই প্রশ্ন আমরা গোড়া থেকেই তুলছি। সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পেনশন দেয়, তাহলে তার অঙ্ক বাড়তে বাধ্য।’