চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
প্রচারে রাহুলের হাতে থাকে সংবিধানের একটি পকেট সংস্করণ। সেই বইয়ের মলাটের রং লাল। আর ওই রং নিয়েই কংগ্রেস তথা রাহুলের ‘আর্বান নকশাল’ যোগ টেনে আক্রমণের পথে হেঁটেছেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মতো বিজেপি নেতারা। মোদিও বলেছিলেন, রাহুলের হাতে থাকা সংবিধানের পাতাগুলি ফাঁকা, তাতে কিছু লেখা নেই। এদিনের সভায় সেই আক্রমণের জবাব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। সংবিধানের ওই সংস্করণ দেখিয়ে রাহুলের কটাক্ষ, ‘এই বইয়ের লাল রং নিয়ে বিজেপি আপত্তি রয়েছে। কিন্তু, সংবিধান বইয়ের রং নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু এই সংবিধান রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রয়োজনে প্রাণও দিতে পারি। মোদিজি মনে করেন সংবিধানের এই বইয়ের মধ্যে কিছুই নেই। কারণ, তিনি কোনওদিনই এটি পড়েননি। তাই বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি অবগত নন।’ সুর চড়িয়ে রায়বেরিলির সাংসদ বলেন, ‘মোদিজি এই বই ফাঁকা নয়। দেশের আত্মা ও জ্ঞান নিহিত করেছে সংবিধানে।’ সর্বভারতীয় স্তরে নীতি-সিদ্ধান্ত গ্রহণে আদিবাসী, দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির অংশীদারিত্ব বাড়ানোর দাবিতেও এদিন ফের সরব হয়েছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, আদিবাসীদের ‘বনবাসী’ বলে অপমান করেছে বিজেপি ও আরএসএস। আসলে আদিবাসীদের দেশের প্রথম মালিক। তাই তারাই জল, জঙ্গল ও জমির প্রথম অধিকারী। কিন্তু, বিজেপি আদিবাসীদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে তাদের জঙ্গলেই রেখে দিতে চাইছে। বীরসা মুন্ডা কিন্তু এই অধিকারের জন্য লড়াই করে আত্মত্যাগ করেছিলেন।
বিগত কয়েক বছরে মহারাষ্ট্রের একাধিক বড় শিল্প গুজরাতে চলে গিয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, দেশি-বিদেশি একাধিক বড় সংস্থার প্রকল্প অন্যান্য রাজ্যে চলে গিয়েছে। এরফলে রাজ্যের পাঁচ লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও তাদের জোট সঙ্গীদের সরকার তৈরি হলে এই প্রবণতা বন্ধ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। রাহুল বলেন, আমাদের সরকার এসব হতে দেবে না। মহারাষ্ট্রের প্রকল্প মহারাষ্ট্রে, গুজরাতের প্রকল্প গুজরাতেই থাকবে।