চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যদ্রব্য, বিশেষ করে সবজি ও উৎপাদিত পণ্যের দাম বৃদ্ধির জেরেই অক্টোবরে রকেটের গতিতে উপরে উঠেছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার। সরকারি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ১.৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে, সেই সময় খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১১.৫৩ শতাংশ। অক্টোবরে এই হার বেড়ে হয়েছে ১৩.৫৪ শতাংশ। সবজির দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সবজির ক্ষেত্রে অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩.০৪ শতাংশ। যেখানে সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৪৮.৭৩ শতাংশ। অক্টোবরে আলু ও পেঁয়াজের মুদ্রাস্ফীতি যথাক্রমে ৭৮.৭৩ শতাংশ এবং ৩৯.২৫ শতাংশ। ফলে তা রেকর্ড গড়েছে। আবার পুজোর মাসে জ্বালানি ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৭৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ছিল ৪.০৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতিও কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই সপ্তাহের শুরুতে প্রকাশিত কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপক দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ১৪ মাসের সর্বোচ্চ ৬.২১ শতাংশে পৌঁছেছে। এই পরিসংখ্যান আরবিআই-এর নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি। যার ফলে ডিসেম্বরে রেপো রেট কমানোর সম্ভাবনা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।