মথুরা: মথুয়ার কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ঈদগাহ মামলায় নয়া মোড়। হিন্দুপক্ষের দাবি, বিতর্কিত সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত কোন নথি মসজিদ কমিটি কিংবা ওয়াকফ বোর্ড জমা দেয়নি। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছেন হিন্দুপক্ষের আইনজীবী। মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন ঈদগাহ মসজিদ সরানোর মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে মুসলিম পক্ষ আবেদন করেছিল। সেই মামলার শুনানির চলছে বিচারপতি মায়াঙ্ক কুমার জৈনের এজলাসে। হিন্দুপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ওয়াকফ বোর্ড এবং মসজিদ কমিটির নামে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তারা ‘অবৈধভাবে’ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ মে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার মুসলিম পক্ষের আইনজীবী তসলিমা আজিজ আহমাদি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মামলার ‘সীমাবদ্ধতার’ কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর দু’পক্ষের মধ্যে একটি ‘সমঝোতা’ হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে একটি দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হয়। আহমাদি বলেন, আইনানুযায়ী তিন বছরের মধ্যে এই সমঝোতাকে চ্যালেঞ্জ করা উচিত ছিল। কিন্তু, বর্তমান মামলাটি করা হয়েছে ২০২০ সালে।
যদিও, হিন্দুপক্ষের আইনজীবী জানান, ১৯৬৮ সালে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড এবং মসজিদ কমিটির ‘জালিয়াতি’ বা ‘প্রতারণা’ মাত্র। কারণ, সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিটি ১ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে দেবতা কাটরা কেশব রাওয়ের অধীনে। ষোড়শ শতকে ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থানটি ভেঙে ফেলা হয়। আর সেখানে একটি ‘চবুতরা’ বা মঞ্চ ঈদগাহ হিসাবে নির্মাণ করা হয়।