উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
গত শনিবার বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার রামজন্মভূমি মামলার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতেই রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। একইসঙ্গে, মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষে ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। সেইমতো আনসারি ও স্থানীয় মুসলমান নেতারা সম্প্রতি একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, ওই পাঁচ একর জমি অযোধ্যায় সরকারের অধিগৃহীত ৬৭ একরের মধ্যে হতে হবে। সেই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আগামী রবিবার তা নিয়ে বৈঠকে বসার কথা এআইএমপিএলবির। কিন্তু আনসারি বলেন, ‘রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।’
এখানেই শেষ নয়। বোর্ডের অংশ হয়ে শীর্ষ আদালতে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে চান না তিনি বলেও জানিয়েছেন আনসারি। তাঁর কথায়, ‘নিজের ইচ্ছে মতো বোর্ড যা কিছু করতে পারে। আমি তাদের অংশ হতে চাই না। আমি মনে করি, (সুপ্রিম কোর্টের) রায় দীর্ঘদিনের বিবাদের অবসান ঘটিয়েছে এবং সমাজের তা মেনে নেওয়া উচিত।’ এদিকে, বুধবার রাতেই কোটিয়া পাঞ্জিতোলায় আনসারির বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের দুই পদস্থ পুলিস আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেখানে অযোধ্যার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য নিয়ে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে আনসারিকে।
এদিকে, রামমন্দির নির্মাণের জন্য ৫১ হাজার টাকা দান করবে উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভি। তিনি বলেছেন, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পক্ষেই ছিল শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। এবং সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়-ই দিয়েছে। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতের রায়কে ‘সেরা’ আখ্যাও দিয়েছেন রিজভি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি। সে কথা উল্লেখ করে রিজভি বলেন, ‘‘ভগবান রাম যেহেতু মুসলমান সহ আমাদের সবার পূর্বপুরুষ, তাই রামমন্দির নির্মাণের জন্য ‘ওয়াসিম রিজভি ফিল্মস’-এর হয়ে ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’’
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের বরাদ্দ মতো ৫ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের নেওয়া উচিত নয় বলে জানাল উলেমা-ই-হিন্দ (জেইউইএইচ)। এদিন সংগঠনের প্রধান মৌলনা আরশাদ মাদানি একথা জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘বোঝাপড়ার বাইরে’ জানিয়ে তিনি বলেন, মসজিদ ধ্বংস করে মূর্তি রাখা যে বেআইনি আদালত মেনে নিয়েছে। অথচ, সেই আদালতই মসজিদ ধ্বংসকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছে। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ৫ একর জমি নেওয়া হবে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে মাদানি বলেন, ‘আমাদের মতে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সেই জমি নেওয়া উচিত নয়। এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা নেবে। কারণ বিষয়টি জমি নিয়ে নয়, অধিকার নিয়ে। আমরা জমি চাই না। মুসলমানদের জমির প্রয়োজন নেই।’