পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
ঘটনা ২০০২ সালের ২২ জুনের। ওই দৃশ্য দেখে টালিগঞ্জ থানায় খবর দেন উত্তমবাবুই। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় থানা, লালবাজারের হোমিসাইড শাখা, পুলিস-কুকুর। খুনের মামলা রুজু করে শুরু হয় জোড়া-হত্যাকাণ্ডের তদন্ত। ঘটনাস্থল থেকে মৃতের রক্ত, ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পাঠানো হয় ফরেন্সিক পরীক্ষায়। এরপর শুরু হয় জেরা পর্ব। সবার প্রথমে বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য মুদিত। সে পুলিসকে জানায়, ‘ঘুমোচ্ছিলাম। দুপুর ১২টার পড়ে ফ্ল্যাটের বেল বেজে ওঠে। হাল্কা হাল্কা কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। বুঝতে পারি বাড়িতে কেউ এসেছেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ঘুম থেকে উঠে ড্রয়িং রুমে যাই। দেখি, বাবার দুই বন্ধু। নাম অরুণ বারমুচা ও চন্দন বারমুচা। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরও ৪৫ মিনিট পর খেলতে বেরিয়ে যাই। ফিরি প্রায় প্রায় দু’ঘণ্টা পর। তারপর থেকেই ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। মা, দিদি কেউই দরজা খোলেনি।’
হত্যাকাণ্ডের প্রথম মিসিং লিঙ্ক পান লালবাজারের গোয়েন্দারা। কে এই দুই পরিচিত ব্যক্তি? তাঁরাই কি আততায়ী? দুই সন্দেহভাজনের ঠিকুজিকুষ্টি জোগাড় করে পুলিস। অরুণ রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা। আর চন্দন থাকে উত্তরপ্রদেশের তান্দ্যতে। সম্পর্কে জেঠতুতো ভাই। মোবাইল লোকেশনের সূত্র ধরে দু’জনেরই বাড়িতে পৌঁছয় লালবাজারের দু’টি টিম। দুই বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পারে, ঘটনার দু’দিন আগে থেকে দু’জনই বেপাত্তা। বাড়ি ফেরেনি কেউই। পরিবারের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই। দু’জনের বাড়ি থেকেই ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনার সঙ্গে দুই অভিযুক্তের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলে গিয়েছে। অর্থাৎ, আততায়ী তারাই।
কিন্তু, খুনের মোটিভ কী? টাকা-পয়সা নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ? আততায়ীরাই বা কোথায়? ২৩ বছর পরও দুই ভাইয়ের টিকি অধরা।