পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। স্কুলের গাফিলতিতে অ্যাডমিট কার্ড না-পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছিল বুধবার। এই মামলার প্রেক্ষিতে এদিন আদালত পর্ষদকে স্কুলের কাছে পড়ুয়া পিছু ১০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে এনরোলমেন্ট পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিয়েছে। পর্ষদ পোর্টাল খোলার পাশাপাশি জানিয়েছে, ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি পড়ুয়াপিছু লেট ফাইন দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। এনরোলমেন্ট ফি এবং স্টেশনারি বাবদ জমা দিতে হবে ১৮৫ টাকা। ফলে, পড়ুয়াপিছু পর্ষদ আদায় করবে ১৫ হাজার ১৮৫ টাকা। এনরোলমেন্ট না-হওয়ার ঘটনাই শুধু নয়, অ্যাডমিট কার্ডের ভুল সংশোধনও করা যাবে। তবে, অ্যাডমিট কার্ড পাবে এমন পড়ুয়ারাই যারা ন্যূনতম ৭০ শতাংশ হাজিরাসহ টেস্টে সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। নবম শ্রেণিতেও ৭০ শতাংশ হাজিরা থাকতে হবে তাদের। অর্থাৎ, এই শর্তে কিছু পড়ুয়াকে বাদও দিতে পারে স্কুল।
অনলাইনে এনরোল করার পরে সেই রিপোর্ট ডাউনলোড করে পড়ুয়াদের দিয়ে সই করিয়ে নেবে স্কুলই। এবার সেটা এসে শনি এবং রবিবারের মধ্যে পর্ষদে জমা দেবেন স্কুলের প্রতিনিধি। এর জন্য পর্ষদ এবং স্কুল তাদের অফিস খোলা রাখবে। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে অ্যাডমিট কার্ড তুলে দেবে পর্ষদ। বেশকিছু শিক্ষক সংগঠন গোটা প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েও এত মোটা জরিমানা নেওয়ার বিষয়টি পর্ষদকে ভেবে দেখার আর্জিও জানিয়েছে। অন্যদিকে, শেষবারের মতো ফের একবার এনরোলমেন্ট পোর্টাল খুলছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও। লেট ফাইন নিয়ে ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি এনরোলমেন্টের সুযোগ দেবে তারা।
অন্যদিকে, মাধ্যমিক চলাকালীন স্কুলে ফোন নিয়ে যেতে গেলে তা সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষকরা জমা দেবেন সেন্টার সেক্রেটারি বা ভেন্যু সুপারভাইজারকে। আর তাঁরা তা ফেরত নিতে পারবেন বিকেল ৪টের পর থেকে। অর্থাৎ মোট বাড়তি চারঘণ্টা সময় হাতে ধরে রাখতে হবে শিক্ষকদের। এ নিয়ে তাঁদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। যদিও পর্ষদের বক্তব্য, পরীক্ষা পরিচালনায় সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা।