পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
আদালতে ঢোকানোর সময় মিনারুল ও আব্বাসের পরিবারের লোকেরা রীতিমতো বিক্ষোভ দেখায়। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তারা চিৎকার করতে থাকে। আদালতে থাকা পুলিস কর্মীরা এসে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। পরিবারের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত নয় আব্বাস ও মিনারুলরা। গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে। আমাদের পরিবারকে ধংস করে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন আদালতের সেলের ভিতরে গোল হয়ে বসে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে চারজন। নুরকে একাধিকবার আঙুল তুলে মিনারুল ও আব্বাসকে কিছু নির্দেশ দিতে দেখা যায়। হাজতের ভিতরেও কয়েকবার প্রার্থনাও করতে দেখা যায় তাদের। চার জঙ্গিকে দেখার জন্য আদালতের সেলের সামনে অনেকেই উঁকিঝুঁকি মারেন। হাজতের ভিতর থেকেই হাত বের করে মিনারুল তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাদঁতে থাকে।
উল্লেখ্য, এবিটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানির নির্দেশে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিল মহম্মদ শাদ রবি। শাদ রবিকে কেরল থেকে গ্রেপ্তার করে অসম এসটিএফ। অপরদিকে সংগঠনের আইআইডি বিশেষজ্ঞ নুর ইসলামের কাছে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে নওদার সাজিবুল ইসলামকে পাঠানো হয় অসমের কোকরাঝাড়ে। নুরকে অসম এসটিএফ গ্রেপ্তার করলেও, সাজিবুলকে পাকড়াও করে নেয় বেঙ্গল এসটিএফ। সাজিবুলের মোবাইল ঘেঁটে নূরের কাছে প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ছবি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার মোবাইলে আইএসআইয়ের বেশ কিছু অফিসার ও হ্যান্ডেলারদের নাম পাওয়া যায়। এবার সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখতে নুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বেঙ্গল এসটিএফের আধিকারিকরা। এসটিএফের এক আধিকারিক বলেন, এর আগে সাজিবুল ও মোস্তাকিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই তথ্যের সঙ্গে এদের বয়ান মিলিয়ে দেখাও হবে। চারজনকে একসঙ্গে জেরা করা হবে।