শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
হুলুস্থুল পড়ে গেল চত্বর জুড়ে। প্রথমে পুলিস। তারপর লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। নিয়ে আসা হল স্নিফার ডগও। কে এই যুবক? স্থানীয় কেউ তো নয়! তাহলে কে? প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা একটা বিষয় নিশ্চিত হলেন—অন্যত্র খুন করে এখানে এনে ফেলা হয়েছে যুবককে। কারণ? প্রমাণ লোপাট ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু আততায়ী কে? এল কোথা থেকে। কীভাবে মারল? এই ড্রামেই বা ভরল কোথায়? প্রশ্ন একঝাঁক। অথচ উত্তর নেই। বলতে গেলে কোনও সূত্রই নেই। যুবকের ছবি ছড়িয়ে দিল লালবাজার সর্বত্র। যদি কোনও ক্লু মেলে। গোয়েন্দারা বুঝেছিলেন, মৃতের পরিচয় জানতে পারলেই একে একে জট খুলবে। কিন্তু না। কে এই যুবক? রাজ্যের কোনও থানাই হদিশ দিতে পারল না। যুবকের ছবি পোস্টার আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়... পাইকারি মাছ বাজারে। কেন মাছের বাজার? কারণ, যে ড্রামে ‘বডি’ ভরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তা মূলত ব্যবহার করেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এখানেও খালি হাত। আধারের পূর্বাঞ্চলীয় হেড অফিস রাঁচিতে। মৃত যুবকের হাতের ছাপ (বায়োমেট্রিক) নেওয়াই ছিল। গোয়েন্দারা রওনা দিলেন রাঁচি। যদি হাতের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় জানা যায়। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, সরকারি ডেটাবেসে বায়োমেট্রিক মিলল না! তার মানে কি এর আধার কার্ডও নেই?
ধোঁয়াশা... শুধুই ধোঁয়াশা। হেস্টিংসে ড্রামবন্দি যুবকের রহস্যমৃত্যুতে এটাই ন’বছরের প্রাপ্তি লালবাজারের। পুলিস মহলের একটা চেনা কথা আছে, অপরাধ যখন হয়েছে, অপরাধী কোনও না কোনও সূত্র ছেড়ে নিশ্চয়ই গিয়েছে। এই মামলায় ওই ‘চিরন্তন সত্য’ও কেমন জানি মিথ্যা হয়ে গিয়েছে। হাল ছেড়েছে পুলিস। হাল ছেড়েছে লালবাজার। কালের নিয়মে এই রহস্য-খুনের ফাইলও চাপা পড়েছে সময়ের ধুলোয়। খুনি অনেক দূরের গ্রহ, নিহতকেই চিনতে পারেননি গোয়েন্দারা। কথিত আছে, খুনি নাকি একবার হলেও ক্রাইম সিনে ফিরে আসে! এক্ষেত্রে কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। এমনকী বিদ্যাসাগর সেতু, হেস্টিংস এবং আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখেও কিছু খুঁজে পায়নি পুলিস। এত বড় একটা ড্রাম নিশ্চয়ই গাড়ি করে আনা হয়েছিল। কোথায় সেই গাড়ি? কোথায়, কীভাবে ড্রাম নামানো হল? কোনও ফুটেজই কোথাও নেই! যেন শূন্য থেকে উদয় হয়েছে ড্রামের... মৃতদেহের। বাকি সব? ভ্যানিশ!