কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
এই হাইপ্রোফাইল মামলায় চার্জশিট দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই চার্জ গঠন করা হয়। আর ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যদান পর্ব। মামলার শুনানি চলাকালীন মোট ৪০টি ‘এক্সিবিট’ আদালতে পেশ করা হয়েছে। ধৃতের তরফে সওয়াল পর্বে লিগ্যাল এইডের দুই কৌঁসুলি কবিতা সরকার ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মামলায় যা গাফিলতি রয়েছে, তা আমরা তথ্য‑প্রমাণ সহ সবিস্তারে তুলে ধরেছি কোর্টের সামনে। আমরা বিচারকের কাছে বিষয়গুলি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আর্জি জানিয়েছে।’ সঞ্জয়ের কৌঁসুলির বক্তব্যের পরই সওয়ালে অংশ নেন সিবিআইয়ের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি পার্থসারথি দত্ত। ধৃতের আইনজীবী আত্মপক্ষ সমর্থনে যে বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন, তা একে একে খণ্ডন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানাচ্ছি। কারণ ধৃতের বিরুদ্ধে ঘৃণ্যতম অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা হওয়া উচিত।’ সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, ‘এই মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সরকার পক্ষ ধৃতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে।’ নিহত চিকিৎসকের পরিবারের কৌঁসুলি অমর্ত্য দে’ও যে সব নথি কোর্টের কাছে পেশ করেছিলেন, এদিন তার নানা আইনি ব্যাখ্যা দেন ও ঘটনার ভয়াবহতা কোর্টের সামনে তুলে ধরেন। বলেন, ‘অপরাধীর ফাঁসির সাজা হওয়া দরকার।’ বিচারককে তাঁর আবেদন, ‘মেয়েকে হারিয়ে পাথর হয়ে গিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের মা‑বাবা। ওঁদের মনের উপর দিয়ে যে কী ঝড় যাচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। ধৃতের কড়া সাজা হলে আগামী দিনে এই ধরনের অপরাধ করতে কিছুটা হলেও হাত কাঁপবে অপরাধীদের।’ রায়দানের দিন ঘোষিত হওয়ার পরই কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয়কে। তখন তাকে রীতিমতো বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। সন্ধ্যায় কড়া পাহারায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। তখন শিয়ালদহ আদালত চত্বরের বাইরে শুধুই কালো মাথার সারি। দাঁড়িয়েছিলেন অভয়ার মা-বাবাও। শুধু বললেন, ‘ওর যেন কঠোরতম সাজা হয়।’