কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
সিকিওরিটি থ্রেড কী? কাগজের মুদ্রা বা টাকা, পাসপোর্ট সহ বিভিন্ন নথিতে জালিয়াতির সম্ভাবনা থাকে বলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ধাতু বা ক্ষেত্রবিশেষে প্লাস্টিকের তৈরি এই থ্রেড বিশেষ প্রযুক্তিতে বসিয়ে দেওয়া হয় নোটে। এই থ্রেডে কোনও গোপন শব্দ, নকশা বা দুইই থাকতে পারে। শুধুমাত্র অতিবেগুনি রশ্মি দিয়েই সেগুলি দেখা সম্ভব। এর জন্য ইউভি টর্চ বা স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। মাইক্রোপ্রিন্ট, হলোগ্রাফি, কালারশিফট প্রভৃতি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় থ্রেডের নকশা বা শব্দগুলি বসানোর জন্য। এরকম উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তি হঠাৎ মার্কশিটে কেন? সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, অনেক সময়ই মার্কশিট জালিয়াতির চেষ্টা হয়। জাল মার্কশিট নিয়ে গত বছর শহরের একটি নামজাদা কলেজে ভর্তিও হয়ে গিয়েছিল এক ছাত্র। জাল মার্কশিটে ইচ্ছেমতো নম্বর বসিয়ে নিয়েছিল সে। এই জালিয়াতি অবশ্য পরে ধরা পড়ে যায়। তবে, এই ঘটনার পরেই মার্কশিটকে আরও নিরাপদ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
গত বছর থেকে মার্কশিটে কিউআর কোড ব্যবহার করছে সংসদ। সেটাই জালিয়াত ধরতে সাহায্য করে বলে সূত্রের খবর। তবে, সন্দেহ না হলে সেই কিউআর কোড কেউ স্ক্যান নাও করতে পারে। তবে, সিকিওরিটি থ্রেড প্রথম দর্শনেই চোখে পড়বে। আর এটা জাল করা কার্যত অসম্ভব। অনেক জাল নোটে সিকিওরিটি থ্রেড ব্যবহার করা হলেও সেগুলি ইউভি রে’তে ফেললেই ধরা পড়ে যেত। তবে, আসলের মতো দেখতে সিকিওরিটি থ্রেড তৈরি করতেও যে প্রযুক্তি প্রয়োজন, তা সাধারণ দুষ্কৃতীদের কাছে থাকে না। এই কারণেই এটিকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্থানে রাখেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকের বক্তব্য, পাশাপাশি দু’বছরের মার্কশিট রাখা হলে নিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে খানিক ধন্দ তৈরি হতে বাধ্য। সিকিওরিটি থ্রেড সম্বলিত মার্কশিট বেশি গুরুত্ব পেতে পারে বলেও তাঁরা মনে করছেন। সেক্ষেত্রে কি পুরনো মার্কশিটেও নির্দিষ্ট ফি’এর বিনিময়ে এই থ্রেড বসানো সম্ভব? চিরঞ্জীববাবু বলেন, ‘নয়া মার্কশিটের লে-আউটেও নানা পরিবর্তন আসছে। তাই শুধু থ্রেড বসিয়ে দিলে চলবে না।’ তাহলে কি পুরনো মার্কশিট ‘সারেন্ডার’ করে নয়া মার্কশিট নেওয়ার সুযোগ দেবে সংসদ? এর উত্তরে চিরঞ্জীববাবুর বক্তব্য, ‘ভেবে দেখা যেতে পারে।’ প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে বেশ মোটা অর্থই ব্যয় করতে হচ্ছে সংসদকে। তবে, মোট প্রকল্প বরাদ্দ নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি সভাপতি।