কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
৪৭ লক্ষ টাকা প্রতারণার একটি মামলার তদন্তে নেমে খোঁজ মিলেছে এই ‘মিউল অ্যাকাউন্ট কিং’-এর। ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ১৭ জুলাই। ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার হন দক্ষিণ কলকাতার এক মহিলা ব্যবসায়ী। নাম দেবশী দত্ত। মুম্বই পুলিসের এক আধিকারিক সেজে তাঁকে ফোন করে এক দুষ্কৃতী। দেবশীকে বলা হয়, বিমানবন্দরে তাঁর নামে আসা একটি পার্সেল আটকানো হয়েছে। সেটি থেকে মিলেছে বহুমূল্যের মাদক। শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গেও তিনি জড়িত বলে ভয় দেখানো হয়। তাতে কার্যত ভয় পেয়ে প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৭ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেন দেবশী। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই তিনি দ্বারস্থ হন লালবাজারের। তদম্তভার নেয় সাইবার থানার পুলিস।
সূত্রের খবর, প্রতারিত অর্থের শেষ ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা শহরের এক রোবটিক্স কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। সেটিকে হাতিয়ার করেই তদন্তের শুরু। অ্যাকাউন্টটির সূত্র ধরে ইএম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর, পাটুলি ও নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় একসঙ্গে অভিযান চলে। গ্রেপ্তার করা হয় আটজন অভিযুক্তকে, যারা শহরের বাসিন্দাদের মিউল অ্যাকাউন্টের হিসেব রাখত। উদ্ধার হয় ১০৪টি পাসবই, ৬১টি মোবাইল, ৩৩টি ডেবিট কার্ড, ১৪০টি সিমকার্ড, ২টি কিউআর কোড মেশিন, ৪০টি স্ট্যাম্প। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত দিল্লির এক মিডলম্যানের খোঁজ পায় সাইবার পুলিস। গত ১০ অক্টোবর দিল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতেই তদন্ত নতুন মোড় নেয়।
ওই মিডলম্যান জেরায় জানায়, দেশের ‘মিউল অ্যাকাউন্ট কিং’য়ের সঙ্গে সে সরাসরি ডিল করে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ—সর্বত্র তার মিউল অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্ক ছড়ানো। বেঙ্গালুরুর অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা সেই কিংপিন। সেই তথ্য পেয়েই চিরাগের ঠিকুজিকুষ্টি খুঁজে বের করেন অফিসাররা। শেষমেশ বেঙ্গালুরুর এক আবাসনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩টি রাউটার, ২টি হার্ড ডিস্ক, ল্যাপটপ, ৪টি মোবাইল ফোন। দেশের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে চিরাগের বিরুদ্ধে প্রায় হাজারখানেক অভিযোগও জমা রয়েছে বলে খবর।