কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সাগরে গিয়ে সবকিছু তদারকি করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের কর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এলাকা ভাগ করে ১২ জন মন্ত্রীকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার উট্রাম ঘাটে ট্রানজিট ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন মমতা। এখানে পুণ্যার্থীদের জন্য বহুবিধ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা আসতেও শুরু করেছেন। তাঁদের পাশে রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের অতিথি। বাংলাকে আপনাদের ঘর ভাবুন। রাজ্য সরকার আপানাদের পাশে আছে।’
পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে হাজার চার-পাঁচ বাসের ব্যবস্থা, থাকবার জায়গা, জলপথে যাতায়াতের জন্য ভেসেল, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও সুরক্ষার সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা আসবেন। তাঁদের ভাষাগত কোনও সমস্যা যাতে না-হয়, তার জন্য ‘সাগরবন্ধু’ নিয়োগ করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের বিভিন্ন ভাষায় সহযোগিতা করবেন তাঁরা। মেলায় আগুন সম্পর্কে সকলকেই বিশেষভাবে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কুম্ভমেলার চেয়ে কোনও অংশেই কম নয় গঙ্গাসাগর মেলা। গতবার এক কোটির বেশি পুণ্যার্থী এখানে এসেছিলেন। কুম্ভমেলার সঙ্গে সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ রয়েছে। আর সেখানে সাগর পেরিয়েই যেতে হয় গঙ্গাসাগরে। এখানে পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে কোনোরকম তীর্থকর নেওয়া হয় না। সমস্ত দায়িত্বই বহন করে রাজ্য সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দিচ্ছে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীও জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছে গঙ্গাসাগার মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। মেলার অন্যতম কর্তা তারকনাথ ত্রিবেদীর দাবি, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাস করানো হোক।
এদিন উট্রাম ঘাট থেকে সরকারের একাধিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরি ভেসেল এবং ৫০টি ফায়ার ইঞ্জিন উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পুলক রায়, সুজিত বসু ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এছাড়া ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং প্রশাসনের অন্য কর্তারা।