কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
আদালত সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের তরফে জমা পড়া নথি থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্যে গোরুর মোট সংখ্যা এবং তাদের ঠিকুজি-কুষ্ঠির হদিশ রাখার জন্য ‘ইয়ার ট্যাগ’ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাণী সম্পদ দপ্তর। যাতে ট্যাগ চালু হলে পাচারের সময় সহজে চিহ্নিত করা যায় চর্তুষ্পদটিকে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ইয়ার ট্যাগের জন্য গত ২০১৭ সালে টেন্ডার ডাকা হয়। চণ্ডীগড়ের একটি সংস্থা এই কাজের জন্য এক কোটি টাকার বরাত পায়। তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার পর পেমেন্টের জন্য বিল প্রাণী সম্পদ দপ্তরকে পাঠায়। কিন্তু অর্থ দপ্তরের অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে বিলটি পাঠানো হচ্ছিল না। আদালতে কোম্পানির অভিযোগ খতিয়ে দেখে জানতে পারে, এটি আটকে রেখেছিলেন ওই ডিরেক্টর। অভিযোগ, বিল পাস করানোর জন্য তিনি বিপুল পরিমাণ ঘুষ নিয়েছেন। যার পরিমাণ প্রায় টেন্ডার মানির ৩০ শতাংশ।
অভিযোগ জমা পড়ার পর ওই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে নবান্ন। ওই আধিকারিককে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। দেখা যায় অভিযোগের বাস্তবতা রয়েছে। তারপরই দুর্নীতি দমন শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয় কেস শুরু করতে। তারা দুর্নীতি ও আয় বহির্ভুত সম্পত্তির মামলা রুজু করে। আদালতে জমা পড়া এফআইআর থেকে জানা যাচ্ছে,ওই আধিকারিক ধাপে ধাপে টাকা নিয়েছেন। ২০১৭ থেকে ২০২২’এর মধ্যে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। ওই অফিসারের বেতনের স্লিপ, আয়কর রিটার্নের কপি জমা পড়ে আদালতে। নথিতে বলা হয়েছে, এই পাঁচটি অর্থিক বর্ষে তাঁর আয় ছিল আনুমানিক ৩৫ লক্ষের কিছুটা বেশি। অথচ তাঁর পরিবারের নামে খোলা একাধিক অ্যাকাউন্টে এই সময়কালে নগদ জমা পড়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। যা দেখে আদালত আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে। এই পর্বে বিভিন্ন শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও একাধিক সার্টিফিকেটও কিনেছেন ওই ডিরেক্টর। যার পরিমাণ কমবেশি ৩০ লক্ষ। সবমিলিয়ে তাঁর আয় বহির্ভুত সম্পত্তির পরিমাণ ৬০ লক্ষ টাকা। আদালতের প্রশ্ন এই বিপুল পরিমাণ টাকা তিনি রোজগার করলেন কী করে? আর যে টাকা বেতন পেয়েছেন, তার পুরোটাই জমানো কীভাবে সম্ভব? তাহলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল কোথা থেকে! সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে প্রাণী সম্পদ কর্তার বাড়িতে খানাতল্লাশি আর ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখে মেলে উত্তর।