গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
সার্জন মহল সূত্রের খবর, ফোর কে রেজলিউশনের এই সেটে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি প্রচলিত যন্ত্রগুলির তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্ট, নিখুঁতভাবে দেখা সম্ভব। ফলে ভুলের আশঙ্কা থাকে ন্যূনতম। ল্যাপারোস্কপি করার জন্য পেটে গ্যাস ভরতে হয়। প্রচলিত যন্ত্রগুলিতে মিনিটে ২০ লিটার গ্যাস ভরা যায়। এই যন্ত্রে পাঠানো যায় মিনিটে ৪৫ লিটার গ্যাস।
সার্জারির প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ মাখনলাল সাহার নেতৃত্বে এদিন অপারেশনটি হয়। ডাঃ সাহার দাবি, দেশের মধ্যে এই প্রথম এরাজ্যের কোনও জেলা হাসপাতালে এল যন্ত্রটি। সরকারি ক্ষেত্রে এছাড়াও এই যন্ত্র বসেছে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বাঙ্গুর সূত্রের খবর, অ্যাকেলেশিয়া কার্ডিয়া নামে এক ধরনের জটিল পেটের অসুখে ভুগছিলেন জলপাইগুড়ির ওই যুবক। মহম্মদ নুর আলম নামের ৩৭ বছর বয়সি ওই রোগী যা খেতেন, তা বমি হয়ে যেত। খিদেও অস্বাভাবিক কমে গিয়েছিল। এখন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, আসলে ঠিক কী হয়েছিল ওই যুবকের?
বিভিন্ন রোগপরীক্ষা করে চিকিৎসকরা দেখেন, নুর আলমের খাদ্যনালী থেকে পাকস্থলীতে খাবার যাওয়ার রাস্তায় থাকা ভালভের মতো মাংসপেশীতে গোলমাল রয়েছে। ভালভের মতো অংশটি ঠিকঠাক কাজ করলে খাবার ঠেলে উপরের দিকে উঠতে পারে না। নুরের ক্ষেত্রে ওই মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়ায় খাবার ‘ব্যাক ফ্লো’ করছে। সেকারণে তিনি যা খাচ্ছেন, তা বমি করে দিচ্ছেন। খিদেও কমে গিয়েছে।
শুক্রবার সকালে ডাঃ সাহার নেতৃত্বে অপারেশনে নামেন এম আর বাঙ্গুরের চিকিৎসকরা। ল্যাপারোস্কপি পোর্ট এবং ক্যামেরা ঢোকানোর জন্য পেটে চারটি আধ সেন্টিমিটার এবং একটি ১ সেমি ফুটো করা হয়। খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর সংযোগস্থলে থাকা ওই ভালভের মতো মাংসপেশী পর্যন্ত পৌঁছে সেটিকে দু’টি ভাগে কেটে দেওয়া হয়। সমস্যা যাতে একেবারেই না হয়, সেজন্য খাদ্যনালীকে পাকস্থলীর সঙ্গে জড়িয়েও দেওয়া হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে পুরো কাজটি সম্পন্ন করেন সার্জনরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ল্যাপোরোস্কপি অপারেশন করতে খরচ পড়ত লক্ষাধিক টাকা। বাঙ্গুরে হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।