গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
হোমগার্ড এবং সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের কোনও পাকা চাকরি নয়। কাজের বিনিময়ে তাঁরা দৈনিক মজুরি পান। ডিউটিতে অনুপস্থিতির দরুন তাঁদের বেতন কেটে নেওয়া হয়। চাকরি শেষেও তাঁরা পেনশন বা এককালীন মোটা অর্থও পান না। সরকারি কর্মীরা যেসকল সুযোগ-সুবিধা পান তা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। এই কারণে হোমগার্ড ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ রয়েছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গ পুলিস ওয়েফেয়ার কমিটির রাজ্য সম্মেলনে হোমগার্ড এবং সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের দাবি-দাওয়াগুলি পূরণের জন্য নেতৃত্ব সরব হন।
অক্টোবরে গুজরাতে একটি কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হোমগার্ড ও সিভিল ডিফেন্সের চার্টার বা সনদে বদল আনা দরকার। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে এতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। কোন কোন জায়গায়, কী ধরনের সংশোধন জরুরি তা নিয়ে সমস্ত রাজ্যের কাছে মতামত চাওয়া হয়। কয়েকদিন আগেই সেসব দিল্লিতে পৌঁছেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্য তাঁদের স্থায়িত্ব, বেতনবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ব্যবহারে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী দিনে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা মাথায় রেখেই, তাঁদের যাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো যায় তার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্যগুলি। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ডিউটি এবং ট্রাফিকের কাজে তাঁদের ব্যবহারের জন্য পৃথক প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর জোর দিতে চাইছে সব রাজ্য।
সূত্রের খবর, রাজ্যগুলির প্রস্তাবে কেন্দ্রও সহমত হয়েছে। এর জন্য দু’শো কোটি টাকা বরাদ্দ করবে দিল্লি। ওই টাকা বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। উদ্দেশ্য, হোমগার্ড ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের জন্য পরিকাঠামো নির্মাণ এবং তাঁদের পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান। এজন্য আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ারও ভাবনা রয়েছে রাজ্যের।