গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
অভয়ার খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডের পর আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। এরপর সিবিআইয়ের তদন্তভার পায়। এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সন্দীপ ঘোষ, তার নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলি খান, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং ও ডাক্তার আশিস পান্ডেকে। সকলের নামই রয়েছে চার্জশিটে। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, আর জি করে ওষুধ, বিভিন্ন সামগ্রী কেনা সহ একাধিক জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। অত্যন্ত নিম্নমানের ওষুধ এসেছে হাসপাতালে। যে পরিমাণ ওষুধ আসার কথা, তা হাসপাতালে আসেনি। যে সমস্ত যন্ত্রপাতি কেনার কথা বলা হয়েছে, সেগুলির একটা বড় অংশ হাসপাতালে ঢোকেনি। অথচ তারজন্য বিল পেমেন্ট হয়ে গিয়েছে। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া পুরো নিয়ন্ত্রণ করতেন তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। অন্য সংস্থাকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণই করতে দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। সন্দীপ তাঁর ঘনিষ্ঠ সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রাক্তন অধ্যক্ষ ঘনিষ্ঠ ডাক্তার আশিস পান্ডে এই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন। দুর্নীতি করে আসা টাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি করা হয়েছে। সেগুলি নিয়েও তদন্ত চলছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য গিয়েছে। সিবিআই চার্জশিট দিলেও কগনিজেন্স নেওয়া যায়নি। সন্দীপ ঘোষ সরকারি কর্মী হওয়ায় এক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন লাগে। সিবিআইয়ের তরফে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও তা এখনও আসেনি। এরমাঝে ৯০ দিন পূরণ হয়ে যাচ্ছে ডিসেম্বরের প্রথমেই। চার্জশিট জমা না পড়লে অভিযুক্তদের জামিন পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অনুমতি না এলেও নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।