গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
ডিজি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় থেকে বৃষ্টিপাত সবকিছুরই চারিত্রিক বদল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়ার নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পূর্বে যত আগে ঠিক পূর্বাভাস দেওয়া যেত এখন তা করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা না বাড়লেও সমুদ্রের উপর তার অগ্রগতি অনেক মন্থর হয়ে যাচ্ছে। বেশি সময় ধরে সমুদ্রের উপর থাকার জন্য ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে বৃষ্টির ক্ষেত্রেও। বৃষ্টিপাতের দিন কমলেও পরিমাণ বাড়ছে। একই শহরে একই সময়ে কোথাও বেশি, আবার কোথাও কম বৃষ্টি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সচিব জানান, পূর্বাভাস ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে ‘মিশন মৌসম’ প্রকল্প দু’বছরের মধ্যে রূপায়িত হবে। পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এখন আবহাওয়া দপ্তরের মোট ৩৯টি রেডার আছে। এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এই প্রকল্পটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। ডিজি জানান, কয়েকবছরের মধ্যে দেশে রেডারের সংখ্যা ১২২ হবে। পশ্চিমবঙ্গে ডায়মন্ডহারবার ও মালদহে দুটি নতুন রেডার বসছে। বৃষ্টি, তাপমাত্রা প্রভৃতির তথ্য সংগ্রহের পরিধি বৃদ্ধির জন্য আরও স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র তৈরি করা হবে। শহরে ৪ কিমি অন্তর ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে এই কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য যে-সমস্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলির প্রয়োজন হয়, তাদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে এদিন আয়োজন করা হয় একটি কর্মশালার। আবহাওয়া দপ্তরের ডিজি ছাড়াও ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সোমনাথ দত্ত এবং আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর হবিবুর রহমান বিশ্বাস বিভিন্ন বিষয় ব্যাখা করেন। সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলির আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও কী কী বিষয়ক তথ্য প্রয়োজন, সেসব এদিন তারা জানিয়েছে।