গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় লাগাতার উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে খুন হন বিজয়গঞ্জ বাজার থানা এলাকার বাসিন্দা আইএসএফ কর্মী মইনুদ্দিন মোল্লা। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় আরাবুলের। খুনের অভিযোগ ছাড়াও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আরাবুল ইসলামকে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস। লোকসভা নির্বাচন পর্ব জেলে কাটানোর পর গত ২ জুলাই শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি। শর্ত, বিজয়গঞ্জ থানা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি। ওই থানা এলাকাতেই ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়। আর তিনি নিজে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ফলে জামিন পেলেও তিনি পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে যেতে পারছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে সহ সভাপতি সোনালি বাছাড়কে কার্যকরী সভাপতি করা হয়। সম্প্রতি জামিনের শর্ত শিথিলের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরাবুল। শুক্রবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আরাবুলের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানিয়েছেন, আগামী সোম এবং মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পুলিসি প্রহরায় আরাবুলকে পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
আরাবুল জানিয়েছেন, আদালতের রায়ে স্বস্তি পেয়েছি। সোমবার পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে যাব। প্রায় দশ মাস সেখানে যাইনি। অনেকের পরিষেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। যদিও আরাবুল জামিন পাওয়ার আগেই তাঁর নামাঙ্কিত বোর্ড পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ঘরের সামনে থেকে খুলে ফেলা হয়েছে।