চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
মঙ্গলবার মায়ের স্কুটারে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর পথে সল্টলেক ২ নম্বর গেটে বাসের ধাক্কায় এক চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় দুটি বাসের চালককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনার পরই দুর্ঘটনা রুখতে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সল্টলেকে নগরোন্নয়ন দপ্তরে ওই বৈঠক হয়। সেখানে পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা, বিধাননগরের পুলিস কমিশনার মুকেশ সহ পরিবহণ ও পুর দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।
ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, বেপরোয়াভাবে বাস চালাতে এবার আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। চালকরা যাতে নিরাপদে বাস চালান, তা মালিকদেরও খেয়াল রাখতে হবে। কমিশন প্রথা চলছে। তার জেরে বহু বাস চালক ওভারটেক এবং রেষারেষি করেন। তাই আমরা রাজ্যের প্রস্তাব জানিয়ে দিয়েছি যে, এই কমিশন প্রথা বন্ধ করতে হবে। তার বদলে চালকদের বেতন চালু করতে হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা একটি নির্দেশিকাও বের করব। তাতে সমস্ত বিষয়ের উল্লেখ থাকবে। তিনি বলেন, কলকাতায় আগে বছরে ৪০০-৫০০ মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যেতেন। সংখ্যাটি এখন ১৬৯-তে নেমে এসেছে। মৃত্যু আরও কমাতে চাই আমরা। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি আরও বাড়ানো হবে।
পরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, কমিশন প্রথা আর চলবে না। আমরা অবশ্যই তুলে দেব। একটি এসওপি-ও তৈরি করে দেব আমরা। যে মানবে না, তার পারমিট বাতিল করা হবে। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের পাঠ স্কুলের পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করার প্রস্তাব আমি দিয়েছি। কলকাতায় একই জায়গায় একাধিক স্কুল একসঙ্গে ছুটি হয়। সেগুলি পৃথক সময়ে করার পরিকল্পনা হচ্ছে। গার্ডরেল বসিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পার করানো হবে।
সিটি সুবারবান বাস সার্ভিসেস সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, রেষারেষি আমরা সমর্থন করি না। তবে বিকল্প পথের ব্যবস্থা না করে কমিশন প্রথা তুলে দিলে গণপরিবহণ ভেঙে পড়বে। শ্রমিকদেরও রায় নিতে হবে।