চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু হওয়ার পর ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’-এর কমন পাসওয়ার্ড প্রতিটি স্কুলকে দেওয়া হয়েছিল। পরে তা নিজেদের মতো করে বদলে নেওয়ার জন্য বলা হয়। প্রয়োজনে ঘনঘন পাসওয়ার্ড বদলের জন্য বলা হয়েছিল। অনেক স্কুলই শিক্ষাদপ্তরের পরামর্শমতো পাসওয়ার্ড বদল করে। কিছু স্কুল পুরনো পাসওয়ার্ড রেখে দেয়। যেসব স্কুল পোর্টালের পাসওয়ার্ড বদল করেনি সেগুলিকেই প্রতারকরা টার্গেট করে। খুব সহজেই সেই পাসওর্য়াডের মাধ্যমে পোর্টালে অ্যাকসেস নিয়ে টাকা হস্তান্তর করে। পাসওয়ার্ড বদল না করা স্কুলের তালিকা শিক্ষাদপ্তরের কেউ কেউ সরবরাহ করেছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলায় সাইবার প্রতারকদের আলাদা আলাদা গ্যাং অপারেশন করেছে। পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা হাতানোর অন্যতম মূলচক্রী মালদহের বৈষ্ণবনগরের রকি শেখ। পোর্টাল সংক্রান্ত ইনপুট গ্যাংয়ের বাকি সদস্যদের সরবরাহ করেছিল। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ অন্যান্য জেলার স্কুলগুলির পড়ুয়াদের টাকা হাতোনোর ক্ষেত্রে অন্য চক্রীরা তথ্য সরবরাহ করেছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, রকিদের মাথার উপর শিক্ষাদপ্তরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ‘ভূত’ রয়েছে। সর্ষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভূতের সন্ধান পেতেই তদন্তকারীরা মরিয়া প্রয়াস শুরু করেছে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রতারকরা নিখুঁতভাবে বহুদিন ধরেই অপারেশন চালাচ্ছিল। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার চালাত। এলাকার বাসিন্দারা সরল বিশ্বাসে তাদের কাছে অ্যকাউন্ট খোলার জন্য নথি জমা করত। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টে প্রতারণার টাকা জমা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, গ্রেপ্তারের তালিকা অনেক লম্বা হবে। বিহারেও এই চক্রের অনেকেই রয়েছে। তাছাড়া মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরেও অনেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তবে দপ্তরের কেউ জড়িত না থকলে এতবড় কেলেঙ্কারি হতে পারত না। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস বলেন, ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।