ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, গত রবিবার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটিহার কুমারজোলের বাসিন্দা নূর নেহার খাতুনকে(৬২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালের চারতলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, বৃদ্ধার ভর্তির সময়েই ‘হাই রিস্ক কনসেন্টে স্বাক্ষর’ করে পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃদ্ধার সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছিল। একসময় মাল্টি অর্গান ফেলিয়রও হয়। তারপর গতকাল, সোমবার রাতেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। এরপরই ফিমেল ওয়ার্ডের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত। আচমকা ১০ থেকে ১৫ জন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। দুর্ব্যবহার ও হেনস্তার মুখে পড়েন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফরা। মৃতার পরিবারের দাবি, আমাদের রোগীর স্থিতিশীল অবস্থা ছিল। আচমকা কি করে মারা গেলেন সে ব্যাপারে আমরা জানতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়। বচসা হয়। মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গতকাল এক রোগীর মৃত্যু হয়। তারপরই আচমকা ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল ফিমেল ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে অশান্তি পাকায়। প্রথমে গালিগালাজ। পরে ওয়ার্ডের নার্সিং স্টাফদেরকে ধাক্কাধাক্কি করে। গেটে পুলিসি প্রহরা, নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকলেও একদল মানুষ ৪ তলায় কীভাবে উঠে যায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় শুধু হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা নয়, আমিও আতঙ্কে ভুগছি। এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, আর জি করের ঘটনার পর আমাদের প্রতিবাদ হয়েছিল। তারপর পুলিস প্রশাসন থেকে নানা আশ্বাস পাই। কিন্তু এখনও প্রচুর ফাঁক-ফোকর রয়েছে। যেগুলো দেখার প্রয়োজন রয়েছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।