ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
সোমবার শিয়ালদহ আদালতে সিবিআইয়ের জমা পড়া চার্জশিটে লালবাজারের তদন্তকে মান্যতা দিয়ে জানানো হয়েছে, অভয়ার খুন ও ধর্ষক সঞ্জয়ই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩(১), ৬৬ ও ৬৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ আগস্ট ভোরে আর জি কর হাসপাতালে সঞ্জয়ের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ছাড়াও ডিজিটাল নথি তুলে ধরেছে তারা। বারবার জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা ওই সিভিক অস্বীকার করলেও, সে যে খুন ও ধর্ষণে জড়িত, তার প্রমাণ মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে সঞ্জয়ের রক্তমাখা জামাকাপড় ও জুতো। আর সেখান থেকে সংগ্রহ করা নখ, চুলের নমুনা যে অভিযুক্তেরই, তা প্রমাণ হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টে। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তরুণীকে। এবং তাঁর গলায় হাতের ছাপ মিলেছে সঞ্জয়ের। চার্জশিটে উল্লেখ, ধর্ষণের সময় একাধিক আঘাত করাতেই মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। সিবিআই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারায় চার্জশিট দেওয়ায় এটা স্পষ্ট যে, তরুণী গণধর্ষণের শিকার হননি। কেন সে এই ঘটনা ঘটাল? ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণেই এই নৃশংস অপরাধ ঘটিয়েছে সঞ্জয়। এই একই তথ্য প্রাথমিক তদন্তের পর কলকাতা পুলিসও জানিয়েছিল।
তবে তাদের তদন্ত যে এখনও শেষ হয়নি, সেটাও জানিয়েছে সিবিআই। সেই কারণে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার পথ খোলা রেখেছে এজেন্সি। তারা বলছে, ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তাই অন্য কেউ এতে জড়িত কি না, সে ব্যাপারে তথ্যসংগ্রহ চলছে।