মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
গত ২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা গোটা দেশেই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় ধৃত চারজন অভিযুক্ত পুলিসের গুলিতে নিহত হওয়ায় ভুয়ো সংঘর্ষ বলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিন ময়দানে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সংহতি দিবস ও বাবাসাহেব আম্বেদকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় সভায় মুখ্যমন্ত্রী হায়দরাবাদ ও উন্নাওয়ের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, এটা আইন নয় যে তাকে আমি নিজের হাতে তুলে নিলাম। আইন এটাই, পুলিস তার কাজ করবে, আদালতে পেশ করবে। বিচারক বিচারকের কাজ করবেন। পুলিসের উদ্দেশে তাঁর ঘোষণা, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত তদন্ত সেরে চার্জশিট দিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা করতে হবে। ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই তা করতে হবে। সেই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও আধিকারিকের গাফিলতি দেখা গেলে তাঁর বিরুদ্ধেও অ্যাকশন নেওয়া হবে। মমতা বলেন, এটা জরুরি বিষয় হিসেবে যেন দেখা হয়। অর্থাৎ কোনও মতেই যাতে বিচার প্রলম্বিত না হয়, সেদিকেও কড়া নজরদারি চালাবে তাঁর প্রশাসন।
শুধু যে সদিচ্ছা প্রকাশেই আটকে নেই তাঁর প্রশাসন, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণ দিনাজপুরে একটি ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র তিনদিনে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিস। দ্রুত বিচার পেতে রাজ্যে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। তার মধ্যে মহিলাদের জন্য ৪৫টি আলাদা কোর্ট রয়েছে। এদিন মালদহের নিহত মহিলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না এলে বলা যাবে না। তাঁর মতে, ওটা সীমান্ত এলাকা। তাই বাইরে থেকে এসে ওই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। পুলিস সবটা খতিয়ে দেখছে। হায়দরাবাদের ঘটনার আগের দিনই উন্নাওয়ের এক ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এদিন মমতা বলেন, আমি মহিলাদের উপর অত্যাচার সহ্য করি না। উন্নাওয়ের ঘটনা আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। ওই ঘটনা জানত সবাই। তারপরেও তাঁকে কীভাবে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে! গায়ে আগুন লাগানোর পর নির্যাতিতাকে প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়তে হয়েছে। এই ঘটনায় বিস্মিত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু উন্নাও আমাকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছে।