শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
রাজীব মামলায় বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত জানিয়ে দেয়, তাঁকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। এরপর তাঁকে খুঁজে পেতে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে সিবিআই। শুক্রবার সকালে সিবিআইয়ের একটি টিম দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে একটি রিসর্টে হানা দেয়। তাদের কাছে খবর ছিল, সেখানে গিয়েছিলেন রাজীব কুমার। সেখানকার কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। সূত্রের খবর, বেনামে বেশ কিছু ঘর ‘বুক’ করা হয়েছিল। যা থেকেই সিবিআইয়ের সন্দেহ, সেই ঘরেই গিয়ে উঠতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় তারা। অন্য একটি টিম হাজির হয় রাজীব কুমারের বাড়িতে। এই দলে ছিলেন এক মহিলা অফিসারও। জানা যাচ্ছে , তাঁর নেতৃত্বেই প্রাক্তন পুলিস কমিশনারের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়। কবে থেকে তিনি ছুটিতে গিয়েছেন, কোথায় রয়েছেন, কোয়ার্টারে কবে শেষ এসেছিলেন এবং যোগাযোগ কীভাবে রাখছেন, এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা কথা হয়। এরপর তাঁরা বেরিয়ে যান।
ছুটিতে থাকাকালীন রাজীব কুমার কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তাঁদের সম্পর্কে জানতে পেরেছে সিবিআই। তাঁরা রাজীবের অত্যন্ত কাছের লোক বলেই জানা যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন পুলিস অফিসারও। তাঁদের কাছেও এদিন যান তদন্তকারী অফিসাররা। জানতে চাওয়া হয়, কোন লোকেশনে রাজীব কুমার রয়েছেন এবং কী বার্তা এসেছে। এই সময়কালে ওই আইপিএস অফিসার কোন কোন জায়গায় থেকেছেন এবং কারা সেগুলি ‘বুক’ করে দিয়েছেন, তা নিয়েও খোঁজখবর চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। এই সূত্রেই তাঁরা জেনেছেন, রাজীবকে কর্ডন করে রয়েছে পুলিসের একটি টিম। এই টিমে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য পেয়ে গিয়েছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। এই টিমই বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে বেনামে ঘর ‘বুক’ ঘরে রেখেছিল। যেখানে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। আরও বেশ কয়েকটি জায়গার নামও পাওয়া গিয়েছে। যেখানে একাধিক নামে টিম-রাজীব ‘ঘর’ বুক করে রেখেছে। সেগুলিও চিহ্নিত করে ফেলেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। রাজীবের বিরুদ্ধে যে তাঁরা এবার অলআউট অভিযানে যাবেন, সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন সিবিআইয়ের দিল্লির অফিসের কর্তারা। এর থেকেই স্পষ্ট, দেখা মাত্র গ্রেপ্তার করা হতে পারে রাজীবকে।