পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
বিগত ১৩ বছরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রাজ্যের উন্নতির খতিয়ান তুলে ধরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কমিটির কো-চেয়ারম্যান রূপক বড়ুয়া জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে শয্যাসংখ্যা ৫৭ হাজার থেকে বেড়ে ৯৭ হাজার হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ১০ থেকে বেড়ে ৩০টি হয়েছে। আগে ৬৮ শতাংশ নার্স ভিনরাজ্য থেকে এখানে আসতেন। বর্তমানে ৭২ শতাংশই বাংলার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্যের মোট ২৩টি ক্ষেত্রে ৯৬৯৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে চলেছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে নারায়ণা, সিএমআরআই, অ্যাপোলো, পিয়ারলেস, বেলভিউ, ভাগীরথী নেওটিয়া, উডল্যান্ডস সহ একাধিক বেসরকারি সংস্থা।
রাজ্যের তথ্য অনুযায়ী, এদিনের বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে বেলভিউ হাসপাতাল রাজারহাট-নিউটাউনে তাদের ২০০ থেকে ৪০০ বেডের একটি নতুন হাসপাতাল তৈরি করতে চলেছে। যেখানে প্রায় ৪৮০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। উডল্যান্ড হাসপাতালের তরফ থেকেও বিনিয়োগ করা হবে ৫৩০ কোটি টাকার। কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে ১৭০০ জনের। এই প্রস্তাবে অনুযায়ী আগামী দিনে ১৫০ থেকে ৩৭০ শয্যার হাসপাতাল করবে উডল্যান্ডস। যেখানে স্টেট অব দ্য আর্ট ক্যান্সার সেন্টারের পাশাপাশি লিভার, ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো থাকবে। সিএমআরআই হাসপাতালের তরফে শিলিগুড়িতে নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাবও এসেছে।
অন্যদিকে, প্লাস্টিক এবং বস্ত্র শিল্পে আরও বিনিয়োগ টানতেও বিস্তারিত আলোচনা হয় বাণিজ্য সম্মেলনে। পাশাপাশি, এমএসএমই ডাইরেক্টর, ইন্ডিয়া পোস্ট, ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্ট প্রোমোশন সোসাইটি, স্পোর্টসম্যান কাউন্সিল ফর হ্যান্ডিক্র্যাফটস, এক্সপোর্ট প্রোমোশন সোসাইটি, ভোডাফোন, বিশ্ববাংলা মার্কেটিং কর্পোরেশন এবং অঙ্কুরহাটি জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি সহ একাধিক সংস্থার মধ্যে সাতটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনায় এবং নদীয়ায় বস্ত্র শিল্পের সাতটি ইউনিট আসছে বলেও ঘোষণা হয়েছে সম্মেলনের শেষ দিনে। এছাড়াও জলপাইগুড়িতে তিনটি শিল্পতালুক গড়ছে রামনিবাস গ্রুপ। যেখানে বিনিয়োগ হবে ১৩০০ কোটি টাকা এবং সৃষ্টি হবে ১৫ হাজার ৫০০ কর্মসংস্থান। প্লাস্টিক ভিত্তিক শিল্পস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণাও হয় এদিন। এরাজ্যে ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্রশিল্প সংস্থা রয়েছে। যেখানে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ২০১১ সালে যেখানে মাত্র ৪৯টি ক্ষুদ্রশিল্প ক্লাস্টার ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৫০। যার জেরেও কর্মসংস্থান বেড়েছে। ফলে সামাজিক প্রকল্পের পাশাপাশি কাজের সুযোগ তৈরির জেরেই রাজ্যের ১.৭২ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য সীমার বাইরে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দারিদ্র্য সীমা সংক্রান্ত তথ্য এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এবং শিল্পপতিদের সামনে তুলে ধরেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। - নিজস্ব চিত্র