পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশন কিংবা প্ল্যাটফর্মে মেট্রোর সময় সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শনকারী ট্রেন টাইম ইন্ডিকেশন বোর্ডের (টিটিআইবি) সঙ্গে তালমিল হারাচ্ছে মেট্রো। শহরের গর্বের এই যানের পাংচুয়ালিটি দেশের মেট্রো পথের সেরা নিদর্শন ছিল। কিন্তু নয়া টাইম টেবিলে সেই গরিমা অনেকটাই খোয়া যাচ্ছে মেট্রোর। বৃহস্পতিবার এক যাত্রী রাহুল দত্ত বলেন, কালীঘাট স্টেশনে ঢোকার মুখে টিটিআইবি’তে দেখাচ্ছিল সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কবি সুভাষগামী মেট্রো ঢুকবে। সেই বোর্ডেই সময় দেখাচ্ছিল, সকাল ৯টা ১৭মিনিট। অর্থাৎ ট্রেন আসতে আরও তিন মিনিট বাকি। তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে কার্ড পাঞ্চ করে গিয়ে দেখি, ৯টা ১৮ মিনিটে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। এই ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকছেন বহু যাত্রী। অন্যদিকে, এই টিটিআইবি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে মেট্রোর টেলিকম বিভাগ। সেই বিভাগের কর্তাদের দাবি, মেট্রোর আগের ২৯০টি পরিষেবার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে টাইম টেবিল তৈরি হয়েছিল। সেই মতো এই রুটের বিভিন্ন স্টেশনের বোর্ডগুলিতে টাইম শো করে। তবে পরিবর্তিত সময়সারণীর সঙ্গে বোর্ডগুলির সময় এখনও মেলানো যায়নি। সবমিলিয়ে যাত্রী হয়রানির নয়া দিক উন্মোচিত হয়েছে নর্থ-সাউথ রুটে।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য ভিন্ন যুক্তি রয়েছে কলকাতা মেট্রোর। সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাকেশ কুমার বলেন, আগে কবি সুভাষ থেকে অধিকাংশ মেট্রো দমদমে যাত্রা শেষ করত। ডিসেম্বরের শেষ থেকে বেশিরভাগ মেট্রো নোয়াপাড়া কিংবা দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাচ্ছে। সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৬২টি রেকই চলছে। আগে দমদমের পরবর্তী স্টেশনের যাত্রীদের সেখানে নেমে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হত। এখন সেই যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে না। সিংহভাগ রেকের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত হলেও, সারাদিনে কিন্তু ৬ মিনিটের ব্যবধানেই মেট্রো চলছে বলে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেছেন রাকেশ কুমার। তবে তিনি স্বীকার করে নেন, নয়া এই টাইম টেবিলে প্ল্যাটফর্মে দু-এক মিনিট আগে ঢুকে পড়ছে। বিষয়টি পরিচালনগত ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত। বৃহত্তর স্বার্থে যাত্রীদের আগেভাগে প্ল্যাটফর্মে হাজির হতে আবেদন করেছেন তিনি। -নিজস্ব চিত্র