পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
জাগো বাংলার স্টল কুঁড়েঘরের আদলে তৈরি। প্রাঙ্গণ সাজানো ফুল দিয়ে। এখানে অন্যতম আকর্ষণ মমতার লেখা বই। তাঁর অসংখ্য গুণগ্রাহী কিনতে ভিড় করছেন। স্টলের কর্মীদের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব বই কমবেশি ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তার মধ্যেও ‘বাংলায় নির্বাচন ও আমরা’, ‘উপলব্ধি’, ‘জীবন সংগ্রাম’, ‘বিপন্ন ভারত’ বইগুলির চাহিদা বেশি। ‘জীবন সংগ্রাম’ বইটির ১৫০ কপি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ফলে আবার নতুন করে ছাপতে হচ্ছে। পাশাপাশি, ছোটদের ছড়ার বইগুলিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। স্টলে মমতার একাধিক ছবি। সেগুলি ক্যামেরায় তুলে রাখছেন অনেকে। স্বাগতা দাশগুপ্ত নামে উলুবেড়িয়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাই। ছেলের পড়ার খরচ আমি করতে পারছি। যাঁর জন্য এতকিছু তাঁর লেখা পড়তে মন চাইল বলে কয়েকটি বই কিনলাম।’ মধুরিমা বিশ্বাস নামে বসিরহাটের এক বাসিন্দা বলেন, ‘মমতার আন্দোলন, লড়াই, উন্নয়নের বিষয় জানতে পড়াশোনা শুরু করেছি। তাই কিছু বই কেনার প্রয়োজন পড়েছে। সে জন্য এ স্টলে এলাম।’
অন্যদিকে, বিজেপির ‘জনবার্তা’র স্টল প্রায় খাঁ খাঁ করছে। এ বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচিত বক্তৃতা নিয়ে একটি সংকলন বিক্রি হচ্ছে। স্টলের বাইরে বড় বড় করে পোস্টার দিয়ে জোরদার প্রচারও হয়েছে সেটির। কিন্তু সে বই কিনতে তেমন আগ্রহ দেখা গেল না পাঠকদের মধ্যে। তরুণ হালদার নামে দমদমের এক বাসিন্দা বলেন, ‘সংকলনটি কিনেছেন আমার এক পরিচিত। চোখ বুলিয়ে দেখলাম, লেখাগুলি তেমন গভীর নয়। সারবত্তার অভাব রয়েছে।’ জানা গিয়েছে, মেলার মাত্র কয়েকদিন মাত্র বাকি আছে আর। এখনও পর্যন্ত মোদির বই মাত্র ৪০টি বিক্রি হয়েছে। স্টলে থাকা এক কর্মীর বক্তব্য, ‘মেলার প্রথম তিনদিন ৪০টি বিক্রি হয়েছিল।’ অর্থাৎ তারপরের দিনগুলি আর একটিও কেনেননি কোনও পাঠক।