পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
সরকারি কৌঁসুলি অসীম কুমার যুবকের বিরুদ্ধে কড়া সাজার পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘অপরাধী যে কাজ করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। তার মনোবৃত্তি পশুকেও হার মানায়। একজন বৃদ্ধাও যেভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তা ভেবে আমাদের শিহরিত হতে হয়।’ পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বেলেঘাটা মেন রোড এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। অবিবাহিত বৃদ্ধা তাঁর ঘরে একাই ছিলেন। সেই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে তাঁর মুখ চেপে তাঁকে ধর্ষণ করে চম্পট দেয়। পাশের ঘরেই থাকেন বৃদ্ধার বোন। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবেশীদের জানান। পুলিসে খবর দেওয়া হয়। বৃদ্ধা অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পরের দিন পুলিস অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে। বৃদ্ধার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগকারিণী বিচারকের কাছে ‘গোপন জবানবন্দি’ পেশ করেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়।
করোনার আবহে আলিপুর জেলা কোর্ট থেকে যুবকটি জামিন পেয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি জানান, ‘এই মামলায় সাক্ষ্যদানের আগেই বৃদ্ধা মারা যান। ফলে বাকি ১১ জনের সাক্ষ্য তার সঙ্গে বৃদ্ধার ফরেন্সিক ও মেডিক্যাল রিপোর্ট ও বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দির নথি এই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করতে সাহায্য করে।’ যদিও যুবকটির কৌঁসুলির দাবি, ‘আমার মক্কেলকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষিত হলে আমরা তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’