পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
সোমবার সকালে দত্তপুকুর থানার বাজিতপুরে হজরত লস্কর নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তবে তাঁর মাথার খোঁজ এখনও মেলেনি। বুধবার মৃতের হাতের ট্যাটু দেখে দেহ শনাক্ত করেন বাবা-মা। পুলিসের সন্দেহ ছিল হজরতের মামাতো ভাই ওবাইদুল গাজির দিকে। পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, হজরত নিশাকে ছেড়ে দেওয়ার পর অন্য মেয়েকে বিয়ে করে গাইঘাটা থানার আঙুলকাটা গ্রামে থাকতেন। সেখানেই পূজাকে নিয়ে থাকত তাঁর মামাতো ভাই ওবাইদুল।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, বনগাঁর বাসিন্দা পূজা দাসের সঙ্গে প্রথম প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল হজরতের। পূজা যৌনকর্মী। সেখানে পূজার নাম ছিল নিশা। দু’বছর প্রেমের পর হজরত বিয়ে করেছিল পূজাকে। বিয়ের পর অবশ্য পূজা সেই পেশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু, কিছুদিন পরই তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। তখন পূজাকে বিয়ে করে ওবাইদুল। দ্বিতীয় বিয়ের পরও পূজা যোগাযোগ রাখত হজরতের সঙ্গে। দু’জন নির্জন জায়গায় ঘুরতেও যেত। বিষয়টি জেনে যায় ওবাইদুল। অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে হজরতের উপর আক্রোশ তৈরি হয় ওবাইদুলের। পুলিস আরও জেনেছে, ওবাইদুল ও হজরত দু’জনেই দাগি আসামি। সম্প্রতি হজরত নিজেকে শুধরে নেয়। তা নিয়েও নিজেদের মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল। তার জেরে হজরতকে খুনের পরিকল্পনা বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
কিন্তু গাইঘাটা থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরত্বে এসে দত্তপুকুরে খুন করা হল কেন? তদন্তকারীদের দাবি, খুন করার জন্য আগে থেকে জায়গা রেকি করেছিল ওবাইদুল। দত্তপুকুর এলাকাকে ‘সেফ’ বলেই মনে করেছিল সে। এক বন্ধুকে দিয়ে ফোন করে হজরতকে ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ডেকে আনা হয় দত্তপুকুরে। এরপর নির্জন জমিতে চলে মদ্যপান। তারপর খুন। বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, দেহ শনাক্ত হয়ে গিয়েছে। কিছু নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।