নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি পেলেন সন্দীপ ঘোষ। আর জি কর দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠনের জন্য তাঁকে সময় দিতে চাইল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা দ্রুত বিচার করে এই মামলাকে কবরে পাঠাতে চাই না।’ ওইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে আলিপুর আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালাবে হাইকোর্ট। আর জি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, সাতদিনের মধ্যে এই মামলার চার্জ গঠন করতে হবে সিবিআইকে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু তার আগেই চার্জগঠনের প্রক্রিয়ার গতি কমানোর আর্জিসহ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সন্দীপরা। এদিন সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের চার্জগঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘অভিযুক্তকে সুযোগ না দিয়ে, দ্রুত বিচার করে মামলাটি কবরে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আমরা চাই না।’ ১ ফেব্রুয়ারি নথি দিয়েছিল সিবিআই। তিনদিনের মধ্যে তারা চার্জগঠন করতে চাইল কেন? এই প্রশ্নও তুলেছে আদালত।
বিচারপতি বাগচির পর্যবেক্ষণ, নতুন আইন অনুযায়ী চার্জশিট জমা দেওয়ার পর চার্জগঠনের আগে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় পাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে সেই সময় দেওয়া হচ্ছে না। বিচারপতি আরও বলেন, ‘আদালত বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা চায় না। প্রয়োজনে আলিপুর আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালাবে হাইকোর্ট।’
বিচারপতি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, অন্তত ১৪ দিন সময় দিতে হবে অভিযুক্তদের। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা চার্জশিট পড়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানাতে পারবেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আজ, শুক্রবার। কবে চার্জগঠন হবে, তা এদিন উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই স্থির করা হতে পারে।