শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে ডোমকল থানার এসআই রানাপ্রতাপ সেনগুপ্ত পাঁচজন পুলিসকর্মীর সঙ্গে তাদের হেফাজতে থাকা চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেল রানা ওরফে রানা শেখকে নিয়ে আলিনগর গ্রামের ঘাটপাড়ায় হানা দেয়। উদ্দেশ্য ছিল সেখানে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে চুরির জিনিসপত্র উদ্ধার করা। পুলিসের গাড়ি গ্রামে পৌঁছাতেই অভিযুক্তের মা বাবা সহ পরিবারের লোকেরা লাঠি, রড, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়। তাদের বাধা দিতে গেলে এসআই রানাপ্রতাপ সেনগুপ্ত গুরুতর জখম হন। অভিযোগ, সোহেল রানার বাবা মাসাবুল শেখ ধারালো হাসুয়া দিয়ে ওই পুলিস আধিকারিককের ওপর হামলা করে। অপরদিকে সোহেলের মা মলিনা বিবি পুলিসের গাড়ির চালকের গলায় ধারাল অস্ত্র ধরে ভয় দেখায়, যাতে পুলিস তাদের ছেলেকে নিয়ে যেতে না পারে। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে ডোমকল থানার পুলিস। পুলিসের উপর হামলার ঘটনায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল দুই অভিযুক্ত অর্থাৎ সোহেলের বাবা ও মা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। তাদের খোঁজে রীতিমত চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়।
বুধবার রাতে গোপন সূত্রে ডোমকল থানার পুলিস খবর পায়, শালিমার স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে কেরলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে সোহেলের পলাতক বাবা মা। এরপরেই শালিমার জিআরপির সঙ্গে যোগাযোগ করে ডোমকল থানার পুলিস। সেইমতো বুধবার রাতে শালিমার স্টেশনের প্রতিটি প্লাটফর্মে স্টেশনে সাদা পোশাকে প্রচুর সংখ্যক পুলিস কর্মী মোতায়ন করে জিআরপি। রাত ১১টা নাগাদ স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২৬৬০ শালিমার নাগেরকল গুরুদেব এক্সপ্রেস ঢুকতেই জেনারেল কামরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভিড়ের মধ্যে নজরদারি বাড়ায় পুলিস। রেল পুলিসের কাছে সূত্র ছিল দুই অভিযুক্তের পোশাকের রং। আর তা দেখেই মাসাবুল শেখ ও মলিনা বিবিকে ঘিরে ফেলে পুলিস। তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। রেল পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘দুজনকে জিআরপি থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাদের পরিচয় স্পষ্ট হয়ে যায়। অভিযুক্তদের ডোমকল থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’