শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
বুথ দখলের কায়দায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। উত্তেজনা ছড়ায় পিয়াসাড়া এলাকায়। নাইটা-মালপাহাড়পুর পঞ্চায়েতের তাজপুর, রানাবাঁধ, জগন্নাথপুর, বেলেবাঁধ- গঙ্গারামবাটি, আঁকর গড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য ক্ষুদ্ররামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দুয়ারের সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার। ক্যাম্পে আসা মানুষের ফর্ম ফিল-আপ করার জন্য তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী মাঠে টেবিল নিয়ে বসে। দু’টি আলাদা টেবিলকে ঘিরেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই যখন চরমে, কেউ বা কারা সেই ভিডিও মোবাইলবন্দি করে ভাইরাল করে দেয়। তাতে দেখা যায়, উত্তেজনার সময় পঞ্চায়েতের সঞ্চালক মোল্লা সইদুলকে হাতুড়ি দিয়ে মারার চেষ্টা চলছে। তা আটকানোর চেষ্টা করেছেন পুলিসকর্মীরা। এর মধ্যেই পঞ্চায়েত উপপ্রধান শেখ মনিরুলের দেহরক্ষী পিস্তল উঁচিয়ে ধরে। তারও ওই আস্ফালনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্প এলাকায়। এই এলাকা বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ। বোমা, গুলি সহ একাধিক ইস্যুতে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে পিয়াসাড়া।
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ মাঝি বলেন, কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। চেয়ার, টেবিল ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। চলে মারপিট। তৃণমূল কর্মী বিরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি এই স্কুলে ক্যাম্প হয়েছিল। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফর্ম ফিল-আপ করে দিয়েছি। পরিষেবা দেওয়ার সময় উপপ্রধান ও তার দলবল চড়াও হয়। উপপ্রধান তাঁর দেহরক্ষীকে দলীয় কোন্দলে ব্যবহার করছেন। দেহরক্ষী পিস্তল বের করার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকায় পুলিস থাকা সত্ত্বেও পিস্তল হাতে আস্ফালন করতে দেখা যায় ওই দেহরক্ষীকে। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের উপর প্রধান শেখ মনিরুল জানান, গণ্ডগোল যারা করেছে, তারা তৃণমূলের কেউ নয়। বিজেপির কর্মী। আমাকে ও আমার দেহরক্ষীকে ধাক্কাধাক্কি করছিল। দেহরক্ষী আত্মরক্ষায় পিস্তল হাতে তুলে নিয়েছিল। এখানে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। তৃণমূলে গোষ্ঠীর কথা অস্বীকার করে স্থানীয় বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্থানীয় যুবক-যুবতীরা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করে থাকেন। এদিন ওই ক্যাম্পে বসা নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। পুলিস এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে হুগলি জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃশানু রায় বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণে আসে। নিরাপত্তারক্ষীর হাতে পিস্তল ছিল। বিডিও অফিসের নির্দেশে রাজনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতার জন্য বিডিও অফিস থেকেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কী এমন পরিস্থিতি হল যে, কয়েকশো মানুষের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করতে হল নিরাপত্তারক্ষীকে? এত মানুষের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটলে কে দায়িত্ব নিত? ঘটনাস্থলে পুলিস ছিল। দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোলে নিরাপত্তা রক্ষীর অতি সক্রিয়তা আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।