শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
আইআইটি বম্বের অধীন একটি সেন্টার হল টিআইএইচ। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ন্যাশনাল মিশন অন ইন্টারডিসিপ্লিনিয়ারি সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম প্রকল্পের অধীনে এটি তৈরি হয়। মূলত, ইন্টারনেট অফ থিংস নিয়ে কাজ করে এই সেন্টার। তাদেরই তৈরি একটি মাল্টিমোডাল লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল হল ভারতজেন। এটি ভারতের সমস্ত ভাষা এবং সেগুলির অনুবাদ নিয়ে কাজ করে, আর তা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। মউ উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন আইআইটি বম্বের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চেয়ার প্রফেসর গণেশ রামকৃষ্ণণ। এছাড়া টিআইএইচের সিইও কিরণ শেষ, ভারত জেনের সিইও ঋষি বল, ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন রুদ্র এবং বলরাম লীলা দাসরা উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া এগবে, সেই ব্যাখ্যাও তাঁরা দেন। মনুষ্যচালিত ব্যবস্থায় স্ক্যানার ব্যবহার করে পুরনো পুঁথি ও পাণ্ডুলিপিকে ডিজিটাইজ করার চেয়ে উন্নত এই ব্যবস্থা। অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রেকগনিশন (ওসিআর) প্রযুক্তিতে পুরনো পাণ্ডুলিপি বা পুঁথি থেকে লেখাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ে নেবে যন্ত্রই। যে কোনও ভাষার হাতে লিখিত অক্ষরও আলাদাভাবে চিনতে সক্ষম এই প্রযুক্তি। নির্দেশিত ভাষায় অনুবাদও করে দেবে। শুধু তাই নয়, গবেষক, ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও তৈরি করে দেবে এই বিশেষ প্রযুক্তি। এর ফলে গবেষণা আরও সহজ হবে।
এই রিসার্চ সেন্টার প্রাচীন ভাষা, পুঁথি, পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ এবং গবেষণা বিষয়ে একটি স্নাতকোত্তর কোর্সও চালায়। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুনের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের যৌথ অনুমোদন রয়েছে কোর্সগুলিতে। এখানকার ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, উৎসাহী বহিরাগত ছাত্রছাত্রী বা গবেষকদের জন্যও নয়া ক্ষেত্রটি খুলে দেওয়া হবে। এর ফলে ভারতের প্রাচীন সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার সঙ্গে আরও বেশি করে নতুন প্রজন্মের পরিচিতি ঘটবে বলে সেন্টারের কর্তাদের আশা।