কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালিপাঁচঘড়ার শিবগোপাল ব্যানার্জি লেনের বাসিন্দা অসিতকুমার রায়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে গত বছরের এপ্রিল মাসে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তির যোগাযোগ হয়। তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ শোনেন তিনি। এরপর ওই প্রতারণা চক্রের কথামতো নিজের ফোনে একটি অ্যাপ ইনস্টল করেন অসিতবাবু। তাঁকে বলা হয়, এই অ্যাপের মাধ্যমে ‘অওফিস স্পেস সলিউশনস’ নামের একটি সংস্থায় তিনি ধাপে ধাপে টাকা বিনিয়োগ করলে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রায় দ্বিগুণ ফেরত পাবেন। ফাঁদে পা দিয়ে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে তিনি অনলাইনে মোট ৫২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। কিছুদিন পর আচমকা দেখতে পান সেই ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব আর নেই। সদ্য পরিচিত হওয়া ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সন্ধান পাননি অসিতবাবু। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আগস্ট মাসে মালিপাঁচঘড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে হাওড়া সিটি পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। গত চার মাসে বিভিন্ন সূত্র ঘেঁটে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ এলাকায় মোহিত কুচ্ছাল ও নীতিন সিংগল নামে দুই অভিযুক্তের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। চলতি মাসের ৪ তারিখ হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দাদের একটি দল গাজিয়াবাদে পৌঁছয়। সেখান থেকেই মোহিত ও নীতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদ থেকে প্রথমে পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা নীতিনকে জালে তোলে পুলিস।
এরপর হরিয়ানার বাসিন্দা মোহিতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন ও সিম বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃত দু’জনকে এদিন ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
হাওড়া সিটি পুলিসের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজন এই প্রতারণা চক্রের অন্যতম মাথা। অন্যজন অপারেশন হ্যান্ডলার হিসেবে কাজ করত। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য মিলবে বলে আশা করা যায়। ভিন রাজ্যের এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’