কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও আরাবুল ব্লক অফিসের নীচে ফাঁকা জায়গায় চেয়ার পেতে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ বাদে ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ (ভূমি) খয়রুল ইসলামের এক অনুগামী তা দেখে কটাক্ষের ছলে নানা মন্তব্য করেন। তার প্রতিবাদ করেন আরাবুল ঘনিষ্ঠ বিহারী কামাল সহ অন্যান্যরা। এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। সেই সময় পুলিস প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর ব্লক অফিসে আসেন ভাঙড় ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ (ভূমি) আহসান মোল্লা, তৃণমূলের যাদবপুর-ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার টিএমসিপির সহ সভাপতি সাবিরুল ইসলাম সহ শওকতের বেশ কয়েকজন অনুগামী। আহসান ঢুকতেই প্রতিবাদ জানান আরাবুল ও তাঁর লোকজন। অন্য ব্লকের নেতা কেন এসেছেন এই ব্লকে? এই প্রশ্ন তুলে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এরপর উভয়পক্ষের লোকজন পরস্পরকে গালিগালাজ করার পাশাপাশি মারমুখী হয়ে ওঠে। কেউ কেউ চেয়ার তুলেও মারতে যান। পুলিসের একটি দল শেষমেশ লাঠি উঁচিয়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজনকে সরিয়ে দেয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
আহসান বলেন, আমি জমি রেজিস্ট্রির কাজ নিয়ে ব্লকে এসেছিলাম। কাজ মিটিয়ে দলীয় কর্মী সম্মেলন নিয়ে খয়রুলের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলাম। তখন আরাবুলের গোষ্ঠীর লোকজন মারমুখী হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে। আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলামের পাল্টা দাবি, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লক থেকে কয়েকজন বহিরাগত এসে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা আরাবুল ইসলামকে কটূক্তি ও গালিগালাজ করেন। আমাদের কিছু লোক প্রতিবাদ করলে ওঁরা মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন। পুলিস আমাদের রক্ষা করে।