গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
লেকটাউন থানা এলাকায় রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি হাতানোর চেষ্টা করছে। পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জমির মালিক তথা ইস্টার্ন পেপার মিল নামে একটি সংস্থা। সেই মামলায় লেকটাউন থানার কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। শুক্রবার আদালতে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। ওই রিপোর্টে ছত্রে ছত্রে তদন্তে গাফিলতি ধরা পড়েছে। রিপোর্টটি খারিজ করে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, ‘এই কমিশনারেটের সবক’টি থানা জঞ্জালে পরিণত হয়েছে।’ এরপরই এজলাসে উপস্থিত সরকারি আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ‘শেষবারের মতো বলে দিচ্ছি, পুলিসকে কাজ করতে হবে। শহরাঞ্চলে পোস্টিং নেব, আর কাজ করব না, এটা হয় না। আদালত এত বলার পরও পুলিস যদি নিজেকে না শোধরায়, তাহলে ফল ভুগতে হবে। বেতন নিলে কাজ করতে হবে। বেতন নেব কাজ করব না এটা হয় না।’
এরপরই সিবিআইয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুলিস তদন্ত না করলে সিআইডির কাছে তদন্তভার যাবে। আর তাদের অবস্থাও সিবিআইয়ের মতো হবে। মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে কোন মামলাতেই কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারবে না। এটা হতে দেওয়া যাবে না।
মামলায় পুলিসকে নতুন করে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। উল্লেখ্য, এর আগেও একইভাবে জমি বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় রাজারহাট এবং নিউটাউন থানা বিচারপতি ঘোষের রোষের মুখে পড়েছিল। ওই দুই থানার আইসিদের সরিয়ে দিতে বলেছিলেন বিচারপতি ঘোষ। এরপরও ওই দুই থানার আধিকারিকদের বদলের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য। আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণের পর আদৌ বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটে কোনও বদল আসে নাকি সেদিকেই এখন নজর থাকবে সব পক্ষের।