গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
একদিকে কাকদ্বীপ। মুড়িগঙ্গার অপর প্রান্তে কচুবেড়িয়া। মুড়িগঙ্গার উপরই চার কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ হবে। এ কাজে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত এই সেতু তৈরির কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রায় ছ’বছর আগে প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের অংশীদার করার কথা বলেছিল রাজ্য। যার পরিবর্তে কেন্দ্রকে এই সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবে সারা দিয়েও শেষপর্যন্ত কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্র বলে অভিযোগ। ফলে সাগরদ্বীপের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলায় আসা কোটি কোটি পুণ্যার্থীর কথা ভেবে রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করে এই সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে রাজ্যের খরচে সেতু নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
পূর্তদপ্তরের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কাজ শেষ হওয়ার পর টানা দশ বছর নির্মাণকারী সংস্থার উপরই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে। আগামী বছর চার ফেব্রুয়ারির মধ্যে দরখাস্ত (বিড) জমা দিতে হবে। ছয় তারিখ তা খোলা হবে। প্রসঙ্গত ৬০ পাতার ডিটেইল্ড প্রজেক্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, চার লেনের হবে গঙ্গাসাগর সেতু। মোট খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৩৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৫৪ টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় দেড়শো বাসিন্দার কাছ থেকে জমি কেনার জন্য তাঁদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছে জেলা প্রশাসন। বাসিন্দারা কত টাকা পাবেন, সেটাও প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়ে গিয়েছে। এবার টেন্ডার ডাকার বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই আরও এক ধাপ এগল মুড়িগঙ্গা নদীর উপর গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া। রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন. এটি হল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। উনি এবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে এর শিলান্যাসও করতে পারেন ধরে নিয়ে কাজ এগচ্ছে।