গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর বাপের বাড়ি কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায়। তাঁর স্বামী নিলয়ের বাড়ি খড়দহের বিবেকনগর। সে বেসরকারি সংস্থার কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। তাঁরা আলাদা থাকছিলেন। এদিন আর্যনগর এলাকার এক পরিচিত বন্ধুর বাড়িতে এসেছিলেন সঙ্গীতা। এদিন সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। গোপনে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর পিছু নিয়েছিল নিলয়। আর্যনগর অনুপমা রোডে সে স্ত্রীর পথ আটকায়। দু’এক কথার পরই নিলয় বোতলে থাকা কেরোসিন তেল স্ত্রীর গায়ে ঢেলে আগুন লাগিয়ে চম্পট দেয়। সঙ্গীতাদেবী অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আর্ত চিৎকার করে দৌড়তে শুরু করেন। স্থানীয়রা কোনওমতে আগুন নিভিয়ে বেলঘরিয়া থানায় খবর দেন। পুলিস এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক গৃহবধূ বলেন, আচমকা ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে দরজা খুলেছিলাম। দেখি এক মহিলা রাস্তায় দৌড়চ্ছেন। শরীর দাউ দাউ করে জ্বলছে। রাস্তার উল্টো দিক থেকে আসা এক যুবক জল ছেটাচ্ছেন। আমি ঘরের উপর থেকে মোটা কাপড় ফেলে শরীরে জড়াতে বলেছিলাম। এখনও আতঙ্কে কাঁপছি। চোখ বন্ধ করলে ওই ছবি ভেসে উঠছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত নিলয়ের সঙ্গে তার এক বন্ধুও ছিল। তার খোঁজ চলছে। ধৃতকে জেরা করে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা চলছে।