গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
তদন্তকারীরা বলছেন, কাটিহার এক্সপ্রেসে তবলা শিক্ষককে খুনের পর অভিযুক্ত টাটানগর গিয়েছিল। সেখান থেকেই দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেনে চাপে সে। তবে কাটিহার এক্সপ্রেসে তার মোবাইলের লাস্ট টাওয়ার লোকেশন মালদহের আশপাশে হওয়ায় অনুমান করা হচ্ছে, সেখান থেকে ‘মেমু’ প্যাসেঞ্জারে চেপে টাটানগরে পৌঁছেছিল রাহুল। তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গুজরাত পুলিস এখন জানতে চাইছে, যে পাঁচটি খুনের ঘটনা সামনে এসেছে, তার বাইরে আর কোনও হত্যার সঙ্গে সে যুক্ত ছিল কি না! তদন্তকারীদেরকারীদের কাছে রাহুল দাবি করেছে, পুনে–কন্যাকুমারী এক্সপ্রেসে মহারাষ্ট্রের শোলাপুরের এক মহিলাকে খুন করে ‘ট্রেন কিলিং’য়ে তার হাতেখড়ি হয়। তারপর তার সাহস বেড়ে যায়। এরপর শুরু করে টার্গেট বাছাই করে একের পর এক খুন। গুজরাতের ভাপিতে আসার আগে কোনও ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, এই প্রশ্নে প্রথমে জানায়, কয়েকজনকে টার্গেট করেছিল। এরজন্য প্রতিবন্ধী কামরাকেই বেছেছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা সফল হয়নি। পরে বয়ান বদলে জানায়, সেকেন্দ্রাবাদের ঘটনার পরই সে বুঝে যায় পুলিস তার পিছু নিয়েছে। তাই পালানোর চেষ্টা করছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, কোনও বিষয় আড়াল করার চেষ্টা করছে রাহুল। তবে চলতি বছরের মে মাসে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই যে সিরিয়াল কিলিংগুলি রূপায়নের পরিকল্পনা করেছিল, তা সে জেরায় তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করেছে।
চুরি-ছিনতাই বা বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবসা ছেড়ে সে কেন খুন শুরু করল? জবাবে অভিযুক্ত গুজরাত পুলিসকে জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের জেলে থাকার সময় তার সঙ্গে বড় বড় অপরাধীর পরিচয় হয়। তাদের কাছ থেকে খুন –ডাকাতির গল্প শুনত। পাশাপাশি পুলিসকে কীভাবে ধোঁকা দিয়ে পালিয়ে থাকতে হবে, তার প্রাথমিক শিক্ষাও নিয়েছিল। অভিযুক্ত জেরায় জানিয়েছে, তার বিশ্বাস ছিল ট্রেন বদল করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ানোয় পুলিস সহজে তাকে ধরতে পারবে না। এই সুযোগে একের পর অপরাধ করে পুলিসের কাছে ত্রাস হয়ে উঠবে। কিন্তু গুজরাতে তরুণী ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটিয়েই পুলিসের জালে ধরা পড়ল রাহুল জাঠ।