চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
সুভাষগ্রাম থেকে চম্পাহাটি যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে কিছু দূর অন্তর খেজুর গাছ রয়েছে। এর আগে সেখানে কখনওই শিউলিদের আসতে দেখা যায়নি। খোঁজখবর করে তাই এই জায়গাকেই বেছে নিয়েছেন ভীম প্রামাণিক, সন্ন্যাসী প্রামাণিকের মতো কয়েকজন শিউলি। তাঁরা শুরুও করে দিয়েছেন গাছের গায়ে টিনের পাত্র বসানোর কাজ।
ভীমবাবুর কথায়, গ্রামে আর সেভাবে গাছ নেই। শিউলির সংখ্যাও কমছে। পরিচিতদের থেকে জানতে পেরেছি, এই তল্লাটে প্রায় ১০০টি খেজুর গাছ রয়েছে। তাই এখানে চলে এসেছি রস সংগ্রহ করতে। সারা বছর চাষবাস ও অন্যান্য কাজ করে পেট চলে। শীতের তিন মাস রস থেকে গুড় বানিয়ে কিছুটা বাড়তি রোজগার করতে চাইছি।
এখনও তো সেভাবে ঠান্ডা পড়েনি। ভালো রস কি পাওয়া যাবে? শিউলিদের কথায়, কয়েকদিন পরই গাছ থেকে রস বেরতে শুরু করবে। তখন রসের পরিমাণ এবং তার মান যাচাই করা হবে। পরে শীত পড়লে রসের পরিমাণও বাড়বে। সেই রস জ্বাল দিয়ে গুড় বানিয়ে বিক্রি করবেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রে মিষ্টির দোকানগুলিতেও সরাসরি রস বিক্রি করেন শিউলিরা।
সাধারণত খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করতে মাটির হাড়ি দেওয়া হয়। কিন্তু আপনারা কেন টিনের পাত্র রাখলেন? খেজুরির এই শিউলিরা জানান, মাটির হাঁড়িতে অনেক ঝুঁকি থাকে। ইট মেরে ভেঙে দিতে পারে কেউ। আবার কোনও কারণে সেটি পড়ে গেলেও ভেঙে যাবে। সেক্ষেত্রে টিনের পাত্র অনেকটাই সুরক্ষিত। নিজস্ব চিত্র